🟥 অবৈধ যৌন উত্তেজক সিরাপ ব্যবসা ধামাচাপার চেষ্টা: সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে রন্টি ও তার চক্র

🖊স্টাফ রিপোর্টার: মো: সেলিম রানা

পাবনা জেলার হার্বেক্স ইউনানী কোম্পানি ও রুন্টি ফার্মাসিউটিক্যালস-এর বিরুদ্ধে যৌন উত্তেজক সিরাপের নামে অবৈধ মাদক ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। সিরাপের নামে বিক্রি হওয়া এসব দ্রব্যকে ঘিরে সাংবাদিকরা অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে, তাদের বিরুদ্ধে শুরু হয় পরিকল্পিত অপপ্রচার।

সূত্র জানায়, গজমতিকুন্ডা মালঞ্চিতে অবস্থিত রুন্টি ফার্মাসিউটিক্যালস এবং পাবনা বাইপাস রোড শালগাড়িয়ায় অবস্থিত হার্বেক্স ইউনানী কোম্পানির তৈরি ‘আগুন’ ও ‘রেস’ নামক সিরাপ যৌন উত্তেজক হিসেবে বাজারজাত হলেও বাস্তবে এটি তরুণদের মাঝে নেশা সৃষ্টির মাধ্যমে ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে।

এ বিষয়ে তথ্য চাইলে, রুন্টি ফার্মাসিউটিক্যালস-এর মালিক ইমরুল হাসান রন্টি ও তার সহযোগী আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নিজের তৈরি “স্পষ্টবাদী” নামক একটি অনুমোদনহীন অনলাইন পোর্টালে অপপ্রচার চালাতে শুরু করেন। সেই পোর্টালে ভুয়া ছবি ও তথ্য ব্যবহার করে সাংবাদিকদের মানহানিকর প্রচার চালানো হয়, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

তদন্তে জানা গেছে, ইমরুল হাসান রন্টি ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন এবং সে পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ ১৪ বছর যাবত এই অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। শুধু পাবনাই নয়—দিনাজপুর, সুনামগঞ্জ, নাটোর, কুমিল্লা, মুন্সিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রংপুর এবং কক্সবাজারের চকরিয়া এলাকাতেও তার এই নেশাজাতীয় সিরাপের সরবরাহ রয়েছে।

এসব সিরাপ গ্রহণ করে দেশের অসংখ্য যুবক নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে এবং যুক্ত হচ্ছে অসামাজিক কার্যকলাপে, যা সমাজ ও জাতির ভবিষ্যতের জন্য এক ভয়াবহ হুমকি।

সচেতন নাগরিক সমাজ, ভুক্তভোগী পরিবার ও সাংবাদিক মহল দাবি তুলেছেন, রন্টি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছে দেশের জনগণ।