1. shahinsalman99@gmail.com : দৈনিক আজকের জনতার কথা : দৈনিক আজকের জনতার কথা
  2. info@www.dainikajkerjanatarkotha.online : দৈনিক আজকের জনতার কথা :
রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ময়মনসিংহে ৫২তম গ্রীষ্মকালীন ফুটবল (ছাত্র-ছাত্রী) ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক সমবায় বর্ষ ২০২৫ উদযাপন: মোহনপুরে আলোচনা সভা ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত রাকসু নির্বাচনকে সুষ্ঠ করতে রাবির আইন-শৃঙ্খলা সভায় পুলিশ কমিশনার’র প্রত্যয় হাতেগড়া হাজারো সাংবাদিকের মাঝে বেঁচে আছেন আলতাফ হোসেন : মামুন-অর-রশিদ আমার হয়নি শোনা সাহিত্য আচার্য্য( স্বরচিত) ময়মনসিংহে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে এহসান কুফিয়ার নেতৃত্বে হাজারো মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ঠ (এসডিজি)বাস্তবায়ন ও সমন্বয় সম্পর্কিত বিভাগীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সরাইলে মাসব্যপি টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন বাহরাইন থেকে ৬৫ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছেন ফারুক বিপদে ৯০ বাংলাদেশি

পাকুন্দিয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাচ মাস ধরে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

পাকুন্দিয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
পাচ মাস ধরে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১টি অনুমোদিত চিকিৎসক পদের বিপরীতে বর্তমানে আছে ৮ জন চিকিৎসক দিয়ে হাসপাতালের কার্যক্রম চলছে। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে জুনিয়র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ১০টি পদের সবগুলোই খালি রয়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে রোগীদের চিকিৎসা সেবা। পাঁচ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে সিজারিয়ান কার্যক্রমও।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটি মূলত ৩০ শয্যার সুবিধা পাচ্ছে। মোট ৩১টি চিকিৎসক পদের মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র সাতজন চিকিৎসক ও একজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। ২০টি পদ শূন্য রয়েছে এবং আরও তিনজন চিকিৎসক প্রেষণে। গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর থেকে অস্ত্রোপচার বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিন এখানে গড়ে ৭০০ শতাধিক রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন এ হাসপাতালে। আর ভর্তি থাকেন ৫০ থেকে ৬০ জন। জরুরি বিভাগে দিনরাত একটানা চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন কর আসছেন। যার ফলে মানসিক ও শারীরিক চাপে ভুগছেন তারা।
রোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, একটি অপারেশন থিয়েটার থাকলেও চিকিৎসকের অভাবে কয়েকমাস ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। প্যাথলজি বিভাগ থাকার পরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রোগীদের বাইরের ক্লিনিকে পাঠানো হয়। হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও এর সেবার মান বাড়েনি। হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিতে না পারায় বেশিরভাগ রোগীকে উন্নত চিকিৎসার কথা বলে জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির ওটি বিভাগে কোন কার্যক্রম নেই, তালাবন্ধ রয়েছে। জরুরি বিভাগে একজন চিকিৎসক থাকলেও অন্যান্য বিভাগে চিকিৎসা কার্যক্রম সীমিত।
নারান্দী ইউনিয়নের বাসিন্দা আরিফ বলেন, আমার ভাই এখানে ভর্তি। কিন্তু ডাক্তার সংকটের কারনে সময়মতো চিকিৎসা পাচ্ছেন না।চরফারদীয় ইউনিয়নের বাসিন্দা বাদল মিয়া বলেন, গত মাসে আমার বোনের সিজারের প্রয়োজন হলে এই হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিন্তু গাইনী ডাক্তার না থাকায় তাকে কিশোরগঞ্জ একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে সিজার করতে হয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. নাজিবুল হক বলেন, ৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও এখানে প্রতিদিন গড়ে রোগী ভর্তি থাকে ৫০ থেকে ৬০ জন। আবার বহির্বিভাগেও দায়িত্ব পালন করতে হয়। সেখানেও প্রতিদিন গড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ জন রোগী সেবা নিতে আসে। ডাক্তার সংকট থাকায় অনেক চাপ বেড়েছে। দিনরাত পরিশ্রম করে সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর-এ-আলম বলেন, গাইনী চিকিৎসক না থাকায় প্রায় পাঁচ মাস ধরে ওটি বন্ধ রয়েছে। ডাক্তার সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
সিভিল সার্জন ডা অভিজিৎ শর্মা বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সাথে কথা বলবো দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানের ব্যবহার হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট