
কারিগরি শিল্প প্রশিক্ষণে যুব সমাজের নতুন আস্থার খুলনা বিটাক : অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান
স্টাফ রিপোর্টার।। অমিত তালুকদার
খুলনা-দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কারিগরি শিক্ষা ও উদ্যোক্তা তৈরীতে অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক), সম্প্রতি প্রশিক্ষণ মান ও অবকাঠামোর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।পুরোনো যন্ত্রপাতি সংস্কার, নতুন মেশিন সংযোজন, প্রশিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিদেশে প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণকেন্দ্রের অবকাঠামো আধুনিকায়নসহ নানা কর্মসূচি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।এর ফলে প্রশিক্ষণের মান বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিটাক খুলনা দক্ষিণাঞ্চলের যুব সমাজকে দক্ষ ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলছে।প্রতিষ্ঠানটি শুধুমাত্র প্রশিক্ষণেই সীমাবদ্ধ নয়; স্থানীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ, যন্ত্রপাতি মেরামত ও গবেষণায় সহায়তা প্রদান করে আসছে। এর ফলে অনেক উদ্যোক্তা তাদের উৎপাদন প্রক্রিয়া আধুনিকীকরণ ও পণ্যের মান উন্নয়নে সক্ষম হয়েছেন।সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিটাক খুলনাকে নিয়ে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত অভিযোগ ছড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিটাক খুলনার অতিরিক্ত পরিচালক প্রকৌশলী মোর্শেদ আলম স্পষ্টভাবে বলেন, “যে অভিযোগগুলো আসছে, সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিটাক খুলনা সরকারের নিয়মের অধীনে স্বচ্ছভাবে কাজ করছে। আমরা কঠোর নিয়মানুসারে পরিচালিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে থাকি। প্রশিক্ষণ শেষে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় একেকজন ২৯ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পান, যা তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মনির্ভর হওয়ার পথে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা হিসেবে কাজ করে। কোনো অনিয়ম বা অন্যায় কর্মকাণ্ডে এখানে কারও সম্পৃক্ততা নেই। এসব অভিযোগ আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। আমরা চাই সবাই বিভ্রান্ত না হয়ে বিটাকের বাস্তব উন্নয়ন ও অগ্রগতি দেখুক।”এই প্রসঙ্গে বিটাকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান শিকদার বলেন,”বিটাক খুলনা দীর্ঘদিন ধরে কারিগরি প্রশিক্ষণ, উদ্যোক্তা সহায়তা ও আধুনিক প্রযুক্তি বিস্তারে কাজ করে আসছে।প্রতিটি কার্যক্রম কঠোর সরকারি নীতিমালা ও নিরীক্ষার আওতায় পরিচালিত হচ্ছে।বিটাক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মো: জিনাত আলী বিশ্বাস বলেন, “আমাদের লক্ষ্য তরুণদের হাতে দক্ষতা তুলে দেওয়া। এখানে স্বচ্ছতা কঠোরভাবে রক্ষা করা হয়। কিন্তু কিছু ব্যক্তির ব্যক্তিগত স্বার্থে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” বিটাক খুলনায় বিভিন্ন ধরনের কারিগরি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, যা তরুণ সমাজকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। অনেক প্রশিক্ষণার্থী ইতিমধ্যেই স্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন, কেউ কেউ নিজের উদ্যোগে সফল ব্যবসা শুরু করেছেন।বিটাক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন, “আমরা সরকারের দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কাজ করছি। দক্ষিণাঞ্চলের তরুণরা যাতে ঘরে বসে কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়, সে লক্ষ্যেই প্রতিটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। আমরা চাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে তদন্ত করুক, সত্য উদঘাটন হোক এবং যারা মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”বিটাক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি (নন সিবিএ) মো: মাসুদ রানা বলেন সবাইকে গুজব ও অপপ্রচার থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। “বিটাক খুলনার সাফল্যের গল্প আসলে দেশের শিল্প বিকাশের গল্পেরই অংশ। এই প্রতিষ্ঠান তরুণ প্রজন্মকে আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে নিতে কাজ করছে—এটাই সত্য।”