মোহনপুর কিছু অসাধু ডিলারদের কারসাজি
কৃষকরা বেশি দামে সার কিনতে বাধ্য, বিভিন্ন উপজেলায় চলছে পাচার
মোঃ নাসির উদ্দিন ক্রাইম রিপোর্টার
রাজশাহী জেলার তানোর ও বাগমারা উপজেলায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও ডিলারের কারণে কৃষকরা ন্যায্যমূল্যে সার পাচ্ছেন না। বিএডিসি (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন) এবং বিসিআইসি (বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন)-এর অনুমোদিত কিছু ডিলার সার মজুদ ও অবৈধ পাচারের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রতি কেজি ইউরিয়া, টিএসপি ও ডিএপি সার ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাদের। অথচ সরকার কৃষকদের ভর্তুকি দিয়ে সার সহজলভ্য করার ব্যবস্থা করেছে।
বিভিন্ন উপজেলায় পাচার জানা গেছে, তানোর ও বাগমারা থেকে সরকারি বরাদ্দকৃত সার পাশ্ববর্তী উপজেলা এবং এমনকি অন্য জেলায় পাচার হচ্ছে। এর ফলে স্থানীয় কৃষকরা প্রয়োজনীয় সময়ে পর্যাপ্ত সার পাচ্ছেন না। মৌসুমে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কৃষকদের ক্ষোভ একজন ক্ষুব্ধ কৃষক বলেন,
“আমরা সময়মতো জমিতে সার দিতে না পারলে ধান ও সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হবে। অথচ সরকারি দামে সার না পেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচও অনেক বেড়ে যাচ্ছে।
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ, কৃষক ও সাধারণ মানুষ প্রশাসনের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের দাবি, অসাধু ডিলারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সারের পাচার বন্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে।
রাজশাহীর কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে হলে সারের বাজারে শৃঙ্খলা ফেরানো এখন সময়ের দাবি। ন্যায্যমূল্যে সার নিশ্চিত না হলে কৃষকরা উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হবে এবং এর প্রভাব পুরো কৃষি খাতে পড়বে।