অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩ এর বাতিল চায়-বাংলাদেশ তৃণমূল পার্টি।
প্রধান বার্তা সম্পাদক :জাহারুল ইসলাম জীবন
বাংলাদেশ তৃণমূল পার্টি দেশে বিদ্যমান সকল নিবর্তনমূলক আইনের বাতিল চায়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নিবর্তনমূলক আইন থাকতে পারেনা। সভ্যতা সমর্থন করেনা।
পার্টির এই নীতির অংশ হিসাবে অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩ বাতিল জরুরী হয়ে পড়েছে।
এই আইনে গোটা দেশে প্রায় ২০৪,০০০ মামলা বিচারাধিন।এই ২০৪,০০০ পরিবারকে আদালতের মাধ্যমে মহাজনি কায়দায় নি:স্ব করা হবে।আরো নি:স্ব আগে করা হয়েছে।
শুধু এই মামলা না, সাথে আছে আর একটা চেকের মামলা। প্রতি ঋণগ্রহিতার জন্য থাকছে দুটি করে মামলা।ব্যাংকের চেকের মামলাগুলি শতভাগ মিথ্যা।এক বিষয়ে দুই মামলা। ব্যাংক যাতে চেকের মিথ্যা মামলা রজ্জু করতে না পারে তার জন্য এন আই এক্টের সংশোধনী চায় দলটি।
মহাজনি আমলে মহাজনেরা যেভাবে নির্যাতন করে নি:স্ব করে ঋণ আদায় কারত, এখনো তাই। আগে মহাজনের পেয়াদারা নির্যাতন করে নি:স্ব করত দায়ীককে, এখন আদালতের মাধ্যমে।এই আইনের ৩৩ ৩৪ ধারা অগ্রহনযোগ্য।এই ধারা দুইটি বর্বরোচিত ও নির্যাতনের টুলস। ঋণ আদায়ে এই দুই ধারার স্থগিত এখনই দরকার, ঋণ আদায়ের নতুন ফয়সালা না আসা পর্যন্ত।ঋণগ্রহিতা নির্বাক, তাদের কথা কেউ শুনেনা।
এই অবস্থা সভ্য সমাজ ব্যবস্থায় চলতে পারেনা। রক্ষা ও প্রতিকারের জন্য জনগণ নিবর্তনমুলক আইন বাতিলের পক্ষে। ক্ষতিগ্রস্ত ঋণ গ্রহিতারা আমাদের ভাই এদেশের নাগরিক তাদেরকে ধ্বংস হতে না দেই, পাশে থাকি।
ঋণ পরিশোধ করতে চাই,
আইনী নির্যাতনের দরকার নাই,
অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩ বাতিল চাই।
বাংলাদেশ তৃণমূল পার্টি এই আইনটির বাতিল চায়।