খুলনা বিটাকের কেন্দ্র প্রধান এম মোর্শেদের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি
অনুসন্ধানী প্রতিবেদক :(১পর্ব)
বাংলাদেশ শিল্প কারিগারি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) খুলনা কেন্দ্র খান জাহান আলী থানার শিরোমণি অবস্থিত। খুলনা বিটাকের কেন্দ্র প্রধান এম মোর্শেদ আলমের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ ১৬ বছর খুলনা বিটাকে কর্মরত মোরশেদ আলম একনায়কতন্ত্র এবং খুলনা বিটাকে অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে। জন্মস্থান গোপালগঞ্জ এবং বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের দোসর হয়ে মোর্শেদ আলম ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে একই কেন্দ্রে এত বছর চাকরি করে অধীনস্থ কর্মচারীদের দমন নিপীড়ন নির্যাতন করে আসছে। দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলে ফ্যাসিবাদী দোসর মোর্শেদ আলমের হাত থেকে স্বাধীন হয়নি খুলনা বিটাক। অনুসন্ধানে দেখা যায় সরকারি অনুমতি এবং বন বিভাগের অনুমোদন ছাড়া বিটাকের ভিতরের গাছ কেটে বিক্রি করে। টেন্ডার ছাড়া বিটাকের অভ্যন্তরীণ সকল কাজ নিজের লোক দিয়ে করিয়ে টাকা আত্মসাধায় অভিযোগ রয়েছে এর কেন্দ্র প্রধানের বিরুদ্ধে। বিটাকের বাতিল মাল টেন্ডার ছাড়া বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। মোরশেদ আলম তার ড্রাইভার জামিল ফারাজিকে দিয়ে টেন্ডার ছাড়া ক্যান্টিন চালাচ্ছে এবং বাইরে দাম থেকে ক্যান্টিনে পণ্য সামগ্রী দাম বেশি রাখা হচ্ছে। প্রতি ব্যাচে মেয়েদের দুটি করে দেওয়া হয় যা তার নিজস্ব লোক সরকারি চাকুরীজীবি আব্দুল হাকিম কে দিয়ে সরবরাহ করে কোনরকম টেন্ডার ছাড়াই। অষ্টম শ্রেণী পাস মোরশেদ আলমের মামাতো ভাই আবিরকে দিয়ে ক্লাস করোনা হচ্ছে। সরকারি বিধিমালা উপেক্ষা করে অফিস সহায়ক ফিরোজা বেগমের চাকরি জান্নাতি নামক একজন মহিলাকে দিয়ে করানো হচ্ছে। প্রশিক্ষণার্থীদের দিয়ে নিয়ম উপেক্ষা করে মাটিকাটা, গাছকাটা, ঝাড়ু দেওয়া ,টয়লেট পরিষ্কারের মত কাজ করানো হচ্ছে। মোরশেদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে বদলি করিয়ে করে দেয়া হয়। সারাদেশে যখন বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার সেখানে মোর্শেদ খুলনা বিটাকে ব্যাপক বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। কারিগরি লোক দিয়ে অকারিগরি কাজ করানো হচ্ছে এবং অকারীগরি কাজ দিয়ে কারিগরি কাজ করানো হয়। এতে কর্মচারীরা তাদের প্রতিভা বিকশিত করার সুযোগ পাচ্ছে না যে কারণে বিটাক পরিবার বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে চাইলে মুঠ ফোনে তাকে ফোন দেওয়া হয় অনেকবার ফোন ধরে না পরবর্তীতে ফোন ধরেছে
এবং সে এ বিষয়ে অস্বীকৃতি জানালো
গাছ কাটার ব্যাপারটা স্বীকৃতি জানায়
এবং বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নিষেধ করে
তাকে দিগন্ত, দৈনিক অভয়নগর, দৈনিক ফুলতলা, দৈনিক অনুসন্ধান পত্রিকার অফিস থেকে তার এই দুর্নীতির বিষয় জানতে চাইলে সে কিছুতেই মুখ খুলতে চায় না এবং বিষয়টা এড়িয়ে যায় কিন্তু আমরা অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে দেখলাম তার ব্যাপক দুর্নীতি আমরা তার দুর্নীতির প্রথম পর্ব প্রকাশ করলাম বিস্তারিত আরো পর্যক্রমে পত্রিকার প্রচার হবে সবাই চোখ রাখুন অনুসন্ধানী পর্ব ১
প্রকাশিত হলো।
আমাদের হাতে সকল তথ্য প্রমান ভিডিও ছবি এবং সে যে ব্যাপক দুর্নীতি করেছে অফিস থেকেও তার বিরুদ্ধে মহা পরিচালক বরাবর অভিযোগ জানানো হয়েছে এবং ডাক যোগাযোগ লিখিত অভিযোগ পাঠানো হয়েছে।