ঝালকাঠিতে সবজির বাজারে আগুন,নাভিশ্বাস ক্রেতাদের
শংকর দাস পবন ( বার্তা সম্পাদক) ঝালকাঠি
ঝালকাঠি বাজারে সবজির দাম অনেক বেড়েছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে দৈনিক আজকের জনতার কথা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ঝালকাঠি, শহরের পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখেন ক্রেতাদের দীর্ঘশ্বাস দরদাম করে এক-দুই কেজির বেশি কেউ কিনতে পারছে না।কারণ চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম,আর সেই সুযোগে বেড়ে গেছে দাম।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বিক্রেতারা বেগুন প্রতি কেজি৯০ থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি করছে।খুচরা বিক্রেতাদের কিনতে হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে।খুচরা পর্যায় করলা ৮০ থেকে ১০০টাকা কেজিতে।পটল ৬০টাকা,ঝিঙ্গে ৭০টাকা, বরবটি ( লাফা) ৯০ থেকে ১০০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।প্রতি পিচ লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ১০০টাকায়।
নতুন করে বাজারে এসেছে কয়েকটি শীত কালিন সকজি, কিন্তু তার দাম আকাশ ছোঁয়া, সীম প্রতি কেজি ২৪০ টাকা,টমেটো ১৫০টাকা, ফুলকপির কেজি ১৫০ থেকে ১৬০টাকা, গরিবের খাবার কচুমুখি তা ও বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে।এক মাত্র আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি করছে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ- আলু,পেঁপে,কচুমুখি এই তিনটি সবজির উপর ভরসা করে বাজার করছে।
বিক্রেতারা বলছেন,বাজারে সরবরাহ কম,উৎপাদন কমে গেছে, অন্য দিকে শীতকালীন সবজি এখনো বাজারে পুরো পুরি আসেনি।ফলে দাম বেশি।আগামী ২০-২৫ দিনের মধ্যে সরবরাহ বাড়লে দাম ও স্বাভাবিক হবে।
এ দিকে পূজাকে সামনে রেখে এক শ্রেণির নারিকেল ব্যবসায়ী প্রতি জোড়া নারিকেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করছে। দুই সপ্তাহ পূর্বে ছিল ২৫০ টাকা।
প্রতি বছরই এই সময়টা বাজারে সবজির সংকট দেখা দেয়।সবজির দাম বাড়াতে বিপাকে পরেছেন সাধারণ ক্রেতা।
সবজি কিনতে আসা বিলকিস সুলতানা নামের এক গৃহিনী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগে শীত কাল আসলে সবজির দাম কমে যেতো এখন দেখি উল্টোটা। ২০০টাকায় চার – পাঁচ প্রকার সবজি নেওয়া যেতো। এখন ওই টাকায় দুই কেজি হয় না।
বিক্রেতারা বলছেন,বাড়তি দামে ক্রেতারা কম কিনছেন,ফলে বিক্রিও কমে গেছে।আমরাও ভালো নেই।
সাধারণ মানুষ প্রশাসনকে সপ্তাহে একবার বাজার মনিটরিং করার অনুরোধ করেছেন।তাদের ধারনা বাজার মনিটরিং করলে অসৎ ব্যবসায়ী ওজনে কম দেওয়া ও জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি করতে পারবে না।