মৃত্যুর মিছিল চাই না, নিরাপদ সড়ক চাই
নিজাম উদ্দিন
বার্তা সম্পাদক (কক্সবাজার,বান্দরবান)
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের দাবিতে চকরিয়ায় বিশাল মানবব
“২২ লাখ মানুষের প্রাণের দাবী নিরাপদ সড়ক ও কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নতিকরণ” এই জোরালো স্লোগানে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার দাবিতে চকরিয়া পৌরশহরে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চকরিয়া পৌরশহরের প্রধান সড়কে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী মানুষ, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ একাত্মতা প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিদিন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণে অসংখ্য প্রাণ ঝরে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কের মধ্যে চলাচল করছে। মহাসড়ক সংকীর্ণ হওয়া, যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি ও নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থার অভাবই এসব দুর্ঘটনার মূল কারণ। তাই অবিলম্বে মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীত করার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চকরিয়া আবাসিক মহিলা কলেজ এবং সিটি কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ ফখরুদ্দীন ফরায়েজী। তিনি বলেন, “আমরা মৃত্যুর মিছিল চাই না, আমরা চাই নিরাপদ সড়ক। ২২ লাখ মানুষের প্রাণের দাবী উপেক্ষা করা কোনো সরকারের জন্যই কল্যাণকর হবে না। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই—অবিলম্বে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার কার্যকর পদক্ষেপ নিন।”
বক্তারা আরও বলেন, কক্সবাজার শুধু একটি জেলা নয়, এটি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন নগরী। প্রতিদিন লাখো পর্যটক এই সড়ক ব্যবহার করেন। এখানে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি দেশের ভাবমূর্তিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাই সরকারের প্রতি জোর দাবি—দ্রুত এই মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করে ২২ লাখ মানুষের জীবন রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
সরকারের প্রতি বিশেষ অনুরোধ
মানববন্ধনে উপস্থিত সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর—সড়ক ও জনপথ বিভাগ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ জানান। তারা বলেন, “আমরা আর মৃত্যুর মিছিল দেখতে চাই না। অবিলম্বে মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে ২২ লাখ মানুষের প্রাণরক্ষা করুন।”