ঝালকাঠিতে শিল্পীর রং-তুলির শেষ আঁচড়ে ফুটে উঠেছে দেবী দুর্গার রূপ
বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। হিন্দু সম্প্রদায়ের এই পূজা মূলত দেবী দুর্গার মহিষাসুর বধ কাহিনিকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হয়। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দুর্গাপূজা এখন বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির উৎসব।
বাদল চন্দ্র ধর, ঝালকাঠি সদর প্রতিনিধি,
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেবী দুর্গাকে মা হিসেবে পূজা করা হয়, যিনি অসুর শক্তিকে দমন করে মানবজাতিকে অশুভ থেকে রক্ষা করেন। কল্পারম্ভ, বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠীতে পূজা শুরু হয় এবং বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হয়। এ উৎসব ঘিরে মণ্ডপে বাজে ঢাক-ঢোল, চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ভক্তদের আনাগোনায় মুখর হয়ে ওঠে শহর ও গ্রামাঞ্চল।
এ বছর সনাতন পঞ্জিকা অনুযায়ী আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজা। মহাপঞ্চমীতে দেবীপক্ষের আবহে বাজবে ঢাক-ঢোল, আর ২ অক্টোবর দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই মহোৎসব।
ঝালকাঠি জেলায় এ বছর মোট ১৬২টি স্থায়ী ও অস্থায়ী মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৭৫টি, নলছিটিতে ২৪টি, রাজাপুরে ১৮টি এবং কাঠালিয়ায় ৪৫টি মণ্ডপে পূজা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। প্রতিটি মণ্ডপেই এখন চলছে প্রতিমা নির্মাণ ও সাজসজ্জার শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা।