“চিকিৎসার নামে প্রতারণা! ডাঃ লিপিকার প্রেসক্রিপশনে নেই BSTI ও HBL অনুমোদন লাইসেন্সবিহীন ওষুধে মাতৃত্বের ঝুঁকি!
স্টাফ রিপোর্টার | অমিত তালুকদার | সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের চিকিৎসা সেবায় নেমেছে অন্ধকার। সরকারি চাকরিতে থেকে ব্যক্তিগত চেম্বারে বসে অনুমোদনহীন হারবাল প্রোডাক্ট প্রেসক্রাইব করে ডাঃ লিপিকা দাস তৈরি করেছেন ভয়ঙ্কর নজির। রোগীদের অভিযোগ, এই চিকিৎসক রোগ নিরাময়ের চেয়ে ব্যবসার স্বার্থে প্রেসক্রিপশনে লিখে দিচ্ছেন এমন সব ওষুধ, যার বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (BSTI) বা হেলথ অ্যান্ড লাইসেন্সিং বোর্ড (HBL)—কোনো সংস্থারই অনুমোদন নেই।
ভুক্তভোগীর বয়ান- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগীর স্বজন জানান, তিনি কাকিকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে গেলে ডাঃ লিপিকা দাস প্রথমেই জিজ্ঞেস করেন, “এই মহিলা কি আপনার স্ত্রী?”—যা রোগীর মর্যাদাহানিকর ও মানসিকভাবে কষ্টদায়ক।
অতিরিক্ত টেস্টের চাপ: রোগীদের অভিযোগ, রোগের প্রকৃতি শোনার আগেই তিনি সহকারী দিয়ে একাধিক পরীক্ষা করান, যার খরচ ৪–৫ হাজার টাকার কম নয়।
প্রাইভেট প্র্যাকটিসের রমরমা ব্যবসা: প্রতি সপ্তাহে সুনামগঞ্জ হিউম্যান ল্যাবে ২-৩ দিন বসেন এবং ব্যক্তিগত চেম্বারে প্রতিদিন প্রায় ১০০ জন রোগী দেখেন।
অনুমোদনহীন ওষুধের নাম: অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, Fertilova, Fertilty, Epo EC নামের হারবাল ওষুধগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রেসক্রাইব করছেন এই সরকারি চিকিৎসক। এসব ওষুধের কোনো সরকারি নিবন্ধন বা অনুমোদন নেই। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এসব ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে গোপন সমঝোতায় প্রেসক্রিপশন লিখে দেন তিনি।
মা ও গর্ভবতীদের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকি ৩ মাস পর্যন্ত সেবনের পরামর্শ দেওয়া এসব লাইসেন্সবিহীন হারবাল ওষুধ গর্ভবতী নারীদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। ডাক্তারদের নৈতিকতার প্রশ্নে এ ঘটনা রোগীর জীবন নিয়ে খেলা ছাড়া কিছু নয়।
অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, ডাঃ লিপিকা দাস এর আগেও ভুল চিকিৎসা ও চিকিৎসা অবহেলার জন্য আলোচনায় এসেছিলেন। একাধিক ঘটনায় সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে ‘ঝামেলা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা’ হয়েছে বলে অভিযোগ।
সুনামগঞ্জের স্বাস্থ্যসচেতন মহল বলছে, “এমন পেশাদার অনিয়ম চিকিৎসা সেবার প্রতি জনআস্থা ধ্বংস করছে। অবিলম্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।”
প্রশাসনের প্রতি প্রশ্ন একজন সরকারি চিকিৎসক কীভাবে বছরের পর বছর ধরে অনুমোদনহীন ওষুধ লিখে যেতে পারেন, কে বা কারা তাকে রক্ষা করছে—এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে।
জনগণের দাবি: ডাঃ লিপিকা দাসের প্রেসক্রিপশন, চেম্বার কার্যক্রম ও ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে গোপন লেনদেনের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত।
সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বতঃস্ফূর্ত অভিযানে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
এ বিষয়ে পত্রিকার সম্পাদক জানতে চাইলে ডক্টর লিপিকা দাস এর সাথে মুঠোফোনে অনুমোদনহীন লাইসেন্সবিহীন হারবাল ওষুধের কথা জানতে চাইলে ডাক্তার নিজে ভুল স্বীকার করে এবং নিজে বলে এটা না জেনে প্রেসক্রিপশন করাটা তার ভুল হয়েছে এবং সে সেটা অপরাধ মনে করে তার বক্তব্যে সে একথা সম্পাদকের কাছে শিকার উক্তি দেয়।
এবং সম্পাদককে বলে আপনি আমাকে একটু সময় দেন নিউজ টা একটু হোল্ড করেন এবং আপনার বিষয়টা দেখছি বলে আশ্বস্ত করে।। ডাক্তার নিজে পত্রিকার সম্পাদক কে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে এবং নিউজটি হোল্ড করার জন্য অনুরোধ করে।
চিকিৎসা পেশা যেখানে মানুষের জীবন বাঁচানোর ব্রত, সেখানে আর্থিক লোভে অনুমোদনহীন হারবাল ওষুধ প্রেসক্রিপশন জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতার প্রতি একটি ভয়ঙ্কর হুমকি। এখনই কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে সুনামগঞ্জ থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে পুরো দেশের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি।