ভূয়া চেয়ারম্যান পরিচয়ে কাজী মাহমুদুল হাসান মাহামুদ বাংলাদেশে মানবাধিকার এর মান-সম্মান ক্ষুন্ন করছে এবং রাষ্ট্রদ্রোহী কার্যকলাপ পরিচালনা করছে এবং সরল সহজ মানুষদের সাথে মানবাধিকার নামে প্রতারণা করছে
প্রাইম রিপোর্টার :নেওয়াজ খান বাপ্পি
Centre For Enforcement of Human Rights and Legal Aid (CEHRLA)
নামক একটি মানবাধিকার সংগঠনের স্ব-ঘোষিত ভূয়া চেয়ারম্যান মো: মাহমুদুল হাসান মাহমুদের প্রতারণার মাধ্যমে
অর্থ আত্মসাৎ ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাহমুদুল হাসান নামের ঐ প্রতারক সারা বাংলাদেশে কমিটি গঠন, কার্ড বানিজ্য, ওকিটকি সরবরাহ এবং মানবাধিকার ড্রেস দেওয়ার কথা বলে গ্রমের সহজ সরল মানুষকে প্রতারিত করে চলছেন। শুধু তাই নয় তার বিরুদ্ধে রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সচিবের সিলমোহর ও জাল সাক্ষর করার গুরুতর অভিযোগ। আর এ সবই তিনি করেছেন Centre For Enforcement of Human Rights and Legal Aid (CEHRLA) এর ভূয়া চেয়ারম্যান সেজে। সংস্থার সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শেখ শাহিন হোসেন সহ
অমিত তালুকদার, মোঃ রফিকুল ইসলাম,মোঃ জুসেল, মাহবুবুল আলম সবুজ, মোঃ আল আমিন ও জাহারুল ইসলাম এর অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি “Centre For Enforcement of Human Rights and Legal Aid” (CEHRLA) যাকিনা জয়েন্ট স্টক থেকে ১৯৯৮ সালে নিবন্ধন করা। যার নম্বর S-1934(110)/98। এই সংস্থার চেয়ারম্যান কাজী ফয়জুল হক মৃত্যু বরন করার পর থেকে সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে পরিচালনা পর্ষদের অনেকেই মারা যান।এই বিষয়টা জানতে পেরে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার জোগ সাজেসে মাহমুদ নিজেকে এই সংস্থার চেয়ারম্যান ঘোষণা দিয়ে ৬৮ হাজার গ্রাম বাংলার মানুষদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারনা করে চলছে।এ বিষয়ে মাহমুদুল হাসান জানান এই সংস্থার চেয়ারম্যান কাজী ফয়জুল হক তার মৃত্যুর আগে আমাকে স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে গেছে যার ক্ষমতায় আমি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।কোন সংস্থা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে কাউকে লিখিত দেওয়া যায় কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরজিএস এর একজন এডভোকেট বলেন এটা অসম্ভব এবং আইনবহির্ভূত। স্ট্যাম্পে লিখিত বিষয়ে সংস্থার মহাসচিব (আসল) সৈয়দ আব্দুর রহমান বলেন কাজী মাহমুদুল হাসান একজন প্রতারক ঠকবাজ। জয়েন্ট স্টক কোম্পানি ও ফার্মের নথি অনুযায়ী তার চেয়ারম্যান বা কোনো সাধারণ সদস্য পদে নাম না থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজেকে সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছেন।খুব শীঘ্রই তাকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।