1. shahinsalman99@gmail.com : দৈনিক আজকের জনতার কথা : দৈনিক আজকের জনতার কথা
  2. info@www.dainikajkerjanatarkotha.online : দৈনিক আজকের জনতার কথা :
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
.পি আর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলা ও মহানগর শাখার বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত। মাগুরা শ্রীপুরে শান্তিপূর্ণ দুর্গাপূজা উদযাপনে সেনা কর্মকর্তার সাথে মতবিনিময়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চান্দিনা উপজেলা শাখার আওতাধীন এতবারপুর ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড শাখার ওয়ার্ড সম্মেলন ২০২৫ অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় খাদ্য ও নগদ অর্থ বিতরণ সৌদি আরব-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি : আঞ্চলিক নিরাপত্তায় নতুন অধ্যায় মাগুরাতে জুলাই হত্যা মামলার আসামিদেরকে প্রত্যায়ন দিয়ে জামায়াতের জেলা আমির এর বানিজ্য। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ময়মনসিংহ বিসিএস এর প্রার্থীরা পরীক্ষায় অংশ গ্রহন মাগুরাতে জুলাই হত্যা মামলার আসামিদেরকে প্রত্যায়ন দিয়ে জামায়াতের জেলা আমির এর বানিজ্য। মনোসত্য. সমাজকর্মী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জেসমিন রহমান স্মৃতি

আন্তর্জাতিক মানের প্রতারকের দেখা মিললো বাংলাদেশে: মানবাধিকারের নাম ভাঙ্গিয়ে কাজী মাহমুদুল হাসানের ধান্দাবাজি।

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক মানের প্রতারকের দেখা মিললো বাংলাদেশে: মানবাধিকারের নাম ভাঙ্গিয়ে কাজী মাহমুদুল হাসানের ধান্দাবাজি।

নিজস্ব প্রতিবেদন: অমিত তালুকদার

ভুয়া পরিচয় ও ক্ষমতার অপব্যবহার: কাজী মাহমুদুল হাসান নিজেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত গভ: রেজি: নং: S-1934(110) 98 প্রাপ্ত সংস্থার জয়েন স্টোক অফিস কর্তৃপক্ষের অনুমোদনকৃত ডকুমেন্টে তাহার কোন চেয়ারম্যান পদবী নেই।

এমনকি সাধারণ সদস্য পদীয় কমিটিতে কোন নাম বা পদ পদবী নাই, অথচ সে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ভুয়াভাবে অত্র সংস্থার একজন প্রকৃত চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরে ভুয়াভাবে চেয়ারম্যান সেজে বিভিন্ন লোকের কাছে অবৈধ সাপট খাটিয়ে সংস্থাটি পরিচালনা করছেন। তিনি নিজেকে বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের প্রতিটি জেলা, মহানগর, উপজেলা, ঘানা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়ার্ড শাখা মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ৫০০ শাখা এবং লক্ষাধিক সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত একটি বৃহৎ সংগঠনের প্রধান হিসেবে প্রচার করেন।

কার্ড বাণিজ্য ও অর্থ আত্মসাৎঃ ২০০২ সাল থেকে তিনি মানবাধিকার চেয়ারম্যান পরিচয়ে সাধারণ মানুষদের সদস্য বানানোর নামে ‘কার্ড বাণিজ্য’ করে আসছেন। প্রতিটি কার্ডের জন্য মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করা হলেও, সেই কার্ডের বিপরীতে কোনো বৈধ সেবা বা সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বিভিন্ন জায়গায় জমি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের কথা বলে কমিশন নিচ্ছেন এবং এই অজুহাতেও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।

– ভুয়া সংস্থা ও পত্রিকার মাধ্যমে প্রতারণা কাজী মাহমুদুল হাসান “আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা (Center For The Enforcement Of Human Rights And Legal Aid)” এবং “জাতীয় দৈনিক আজকের গোয়েন্দা সংবাদ” নামক একটি ভুয়া পত্রিকা ও নিউজ পোর্টাল পরিচালনা করছেন, যার কোনো বৈধ অনুমোদন বা রেজিস্ট্রেশন নেই। এই ভুয়া সংস্থা ও পত্রিকার নাম ভাঙিয়ে তিনি হাজার হাজার ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে কোটি কোটি টাকা আত্মনাল ও প্রতারণামূলকভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন। এই সকল কার্যকলাপের মাধ্যমে তিনি সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন।

অবৈধ টিম গঠন ও পোশাক বাণিজ্য: তিনি Anti Corruption Team (ACT), Crime Investigation Team (CIT) এবং Emergency Response Team (ERT) নামে তিনটি অবৈধ সেল গঠন করেছেন। প্রতিটি সেলের জন্য ফেসবুকে নিয়োগ বিজ্ঞাপন দিয়ে লোক নিয়োগ করেন এবং এই সকল টিমের জন্য আলাদা সিলসহ পোশাক বিক্রি করেন। প্রতিটি পোশাকের জন্য ২০০০, ২৫০০, ৩০০০ টাকা বা তারও বেশি দাম নিচ্ছেন, অথচ এই ধরনের পোশাক বিক্রির বা টিম গঠনের কোনো সরকারি অনুমোদন তাদের নেই। এই পোশাক পরে সাধারণ মানুষরা আইনগত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

ওয়ারলেস ওয়াকি টকি বাণিজ্য ও হুমকি প্রদর্শন: তিনি ওয়ারলেস/ওয়াকি টকি প্রদানের কথা বলেও বাণিজ্য করে আসছেন, যদিও এই সকল যন্ত্র ব্যবহারের কোনো অনুমোদন সংস্থার নেই। লোকজনকে বোকা বানিয়ে তিনি হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে কথা বললে তিনি সংস্থা থেকে বহিষ্কারের ভয় দেখান এবং ৬৪ জেলায় মামলার হুমকি প্রদান করেন। তিনি প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলেন যে, “আমি তোমাদের টাকা সহ কোনো ডকুমেন্টস এবং কোনোই ইকুইপমেন্ট দিবো না, তোমরা আমার বিরুদ্ধে যত দূর যেতে পার যাও। আমাকে হুমকি দিয়ে লাভ নেই, কারণ আমি নিজেই একজন হুমকি দাতা, প্রশাসন আমার কিছুই করতে পারবে না, আমি প্রশাসনকে পুঁসি। পারলে আমার বিরুদ্ধে কিছু করে দেখাও। আমি তোমাদের বিরুদ্ধে ৬৪ জেলায় মামলা দিবো, দিবো, দেখি দেখি তোমরা আমার কি করতে পারো?”-প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, তার বিরুদ্ধে একাধিক থানায় কয়েকটি অভিযোগপূরক জিডি। সাধারণ ডায়েরি নথিভুক্ত রহিয়াছে, যাহা তদন্ত বর্তমানে চলমান।

শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত লঙ্ঘন: সংস্থার গঠনতন্ত্রে মানবাধিকার কর্মী হিসেবে যোগদানের ক্ষেত্রে ন্যূনতম এস.এস.সি. পাশ হওয়ার কথা থাকলেও, তিনি স্বল্পশিক্ষিত এবং আইন সম্পর্কে অজ্ঞ লোকজনকে টার্গেট করে সহজেই প্রতারণা করে থাকেন।

অন্যান্য ভূয়া পরিচয়: তার বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকতার পরিচয়পত্রের ছবি, পূর্বের BJMP পার্টি (বঙ্গবন্ধু জাতীয় মানবাধিকার পরিষদ) এর ছবি, সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার বিভিন্ন চিত্র, বর্তমান BJMP (বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পার্টি) এর চিত্র এবং জাতীয় পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার শুভেচ্ছা বার্তার ছবি ইত্যাদি তার ভুয়া পরিচয়ের প্রমাণ বহন করে।

রাষ্ট্রবিরোধী ও জন্মহার বিরোধী কার্যকলাপ:
রাজনৈতিক দল গঠন ও নিজের বাহিনী রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট প্রতিরক্ষা এ জননিরাপত্তা আইনের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে প্রচলিত আইন পরিপন্থী সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর বিপরীতে রাজনৈতিক দল গঠন সহ নিজস্ব CIT Team ও ACT Team গঠন করেছেন।

অবৈধ নিয়োগ ও সরঞ্জাম প্রদান সংস্থা ও পত্রিকার নামে নিয়োগ প্রদানপূর্বক নিয়োগপত্র, আইডি কার্ড প্রদান, পোশাক প্রদান, ওয়ারলেস বা ওয়াকি টকি প্রদান সহ বিভিন্ন অনৈতিক এবং রাষ্ট্রের আইন ও প্রশাসন বিরোধী নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

“প্রশাসনের ডিবি ও সিআইডি আদলে অপারেশন: সিআইডি ও ডিবি স্টাইলে নিজস্ব বাহিনী ও অনুমোদনহীন পোশাক, লাইসেন্সবিহীন ওয়াকি টকি/ওয়ারলেস এবং স্টিকার ও লোগো ব্যবহার করে নানামুখী অপরাধমূলক কার্যক্রমের অপারেশন ও তদন্ত কমিটি গঠনপূর্বক বিভিন্ন মামলা, অপরাধ তদন্তের নামে প্রশাসনের ডিবি ও সিআইডি আদলে অভিযান পরিচালনা করছেন।

অবৈধ অর্থ আদায় ও সমঝোদ অবৈধ অর্থ আদায় সহ মীমাংসা বা অবমুক্তকরণের আশ্বাস প্রদান পূর্বক চুক্তিভিত্তিক চুক্তি করনের মাধ্যমে অভিযোগ নিষ্পত্তিকরণের কথা বলে বা অজুহাতে সাধারণ আমরা বা প্রতিষ্ঠানের কাজ করে দেওয়াগ প্রদহাত হাত দেখিয়ে হাজার হাজার ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অবৈধ পন্থায় নানা বিষ কৌশল অবলম্বন পূর্বক কোটি কোচি টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণামূলকভাবে হাতিয়ে নিচ্ছেন।

রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের অবজ্ঞা: রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের সম্মুখে বা নাকের ডগায় দাঁড়িয়ে নানান সময় নানান রাজনৈতিক দলীয় বিভিন্ন নেতা ও ক্ষমতাধর ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনের অবৈধ কর্মকর্তাগণকে ম্যানেজ করে, নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য সকালে এক কমিটি বৈকালে আরেক কমিটি ঘোষণা করত: প্রতিনিয়ত গিরগিটির মতো সকাল বিকাল তাহা রং ও খোলস বদলাইয়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে চরমভাবে অপব্যবহার করে এসব অবৈধ কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে পরিচালনা করে আসছেন।

বাংলাদেশে এমন এক প্রতারক চক্র সক্রিয়, যারা ‘জাতিসংঘ’, ‘মানবাধিকার কমিশন’ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার নাম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে অর্থের বিনিময়ে প্রতারণার শিকার করছে। ভুয়া সংস্থা ও ফেসবুক পেজের মাধ্যমে তরুণ-তরুণীদের “জেলা মানবাধিকার প্রতিনিধি”, “সমন্বয়কারী” বা “মহাসচিব” বানানোর নাম করে ৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে।
প্রতারণার মূল সংস্থা ও চক্র
ভুয়া সংস্থার নাম Centre For Enforcement of Human Rights and Legal Aid (CEHRLA)। সরকারি নিবন্ধন নম্বর S-1934(110)/98 জাল করে তারা সক্রিয়।
চক্রের প্রধান নেতৃত্বে রয়েছে:
কাজী মাহামুদুল হাসান – নিজেকে চেয়ারম্যান দাবি করে, জাতিসংঘ মিশনে অংশগ্রহণের মিথ্যা দাবিও করেছেন।
প্রতারণার ধরন
চক্রটি নিম্নরূপ ভুয়া কার্যক্রম পরিচালনা করছে:
সরকারি রেজিস্ট্রেশন নম্বর S-1934(110)/98 অবৈধভাবে ব্যবহার।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাউন্সিলের লোগো মুদ্রণ।
ভুয়া নিয়োগপত্র, সদস্যপদ ও সনদপত্র প্রদান।
চাকরির নিশ্চয়তার নামে অর্থ আদায়।
‘Anti-Corruption Team’, ‘Emergency Response Team’ ইত্যাদি নাম ব্যবহার।
প্রশাসনের পোশাক ও ওয়াকিটকি ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তার।
সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার
চক্রটি ফেসবুকের মাধ্যমে তার প্রতারণা ছড়িয়ে দিচ্ছে। মূল পেজ ও গ্রুপ:
আন্তর্জাতিক আইন সহায়তাকারী সংস্থা: facebook.com/share/16s2hVe2dS
সিলেট বিভাগীয় পেজ: facebook.com/share/1BxXE9eSx3
কিশোরগঞ্জ জেলা পেজ: facebook.comনেই/share/1C91cxjefk
অন্যান্য ফেসবুক গ্রুপ: facebook.com/share/1EYXNvTfuB
ভুক্তভোগীর অভিজ্ঞতা
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, কেউ চাকরি আশায়, কেউ মানবাধিকার কাজের আগ্রহে যুক্ত হয়েছেন। পরে বিভিন্ন পদে ‘নিয়োগ’ দিয়ে অর্থ আদায় করা হয়েছে।
অমিত তালুকদার তাহিরপুর থানায় অভিযোগ মাহমুদুল হাসান তাহিরপুর থানায় অভিযোগ মোঃ জুসেল ঝিনাইদহ জিডি মাহবুবুল আলম সবুজ চকরিয়া, কক্সবাজার জিডি
ইতোমধ্যে ৩৪টি সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে:
“মানবাধিকারকে ঢাল বানিয়ে যারা সাধারণ মানুষের অর্থ ও বিশ্বাস আত্মসাৎ করছে, তারা শুধু প্রতারক নয়—রাষ্ট্রবিরোধীও। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি।”
অভিযোগ প্রমাণ করে, এই চক্র জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করছে এবং জনগণকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
চক্রের মূল হোতারা এখনও সক্রিয়। সাধারণ জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে, এ ধরনের ভুয়া সংস্থার সাথে যুক্ত হলে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। CEHRLA বলছে, যারা এ ধরনের প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রকাশের জন্য বিশেষ মন্তব্য: এই প্রতিবেদন পুরোপুরি অনুসন্ধানভিত্তিক এবং ফ্যাক্ট-চেক করা তথ্যের ওপর নির্ভর করছে। জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার নাম ব্যবহার করে যেকোনো প্রতারণা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য।

অবৈধ নিয়োগ ও সরঞ্জাম প্রদান: সংস্থা ও পত্রিকার নামে নিয়োগ প্রদানপূর্বক নিয়োগপত্র,

আইডি কার্ড প্রদান, পোশাক প্রদান, ওয়ারলেস বা ওয়াকি টকি প্রদান সহ বিভিন্ন অনৈতিক এবং রাষ্ট্রের আইন ও প্রশাসন বিরোধী নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

প্রশাসনের ডিবি ও সিআইডি আদলে অপারেশন: সিআইডি ও ডিবি স্টাইলে নিজস্ব বাহিনী ও

অনুমোদনহীন পোশাক, লাইসেন্সবিহীন ওয়াকি টকি/ওয়ারলেস এবং স্টিকার ও লোগো ব্যবহার করে নানামুখী অপরাধমূলক কার্যক্রমের অপারেশন ও তদন্ত কমিটি গঠনপূর্বক বিভিন্ন মামলা, অপরাধ তদন্তের নামে প্রশাসনের ডিবি ও সিআইডি আদলে অভিযান পরিচালনা করছেন।

অবৈধ অর্থ আদায় ও সমঝোতা: অবৈধ অর্থ আদায় সহ মীমাংসা বা অবমুক্তকরণের আশ্বাস

প্রদান পূর্বক চুক্তিভিত্তিক চুক্তি করনের মাধ্যমে অভিযোগ নিষ্পত্তিকরণের কথা বলে বা অজুহাতে সাধারণ জনগণ বা প্রতিষ্ঠানের কাজ করে দেওয়ার অজুহাত দেখিয়ে, হাজার হাজার ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অবৈধ পন্থায় নানা বিধ কৌশল অবলম্বন পূর্বক কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণামূলকভাবে হাতিয়ে নিচ্ছেন।

রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের অবজ্ঞা: রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের সম্মুখে বা নাকের ডগায় দাঁড়িয়ে নানান সময়

ভুয়া চেয়ারম্যানের বক্তব্য, সেন্টার ফর দ্যা এনফোর্সমেন্ট অব হিউম্যান রাইটস এন্ড লিগাল এইড – আইনের শাসন ও সর্বস্তরের শান্তি প্রতিষ্ঠা সহ উন্নয়ন ও সংরক্ষণে নিবেদিত একটি অরাজনৈতিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক এবং সকল প্রকার নির্যাতন বিরোধী আন্ত-মহাদেশীয় ও এশিয়ার বৃহত্তর আইন সহায়তাকারী,জাতিসংঘ মানবাধিকার সনদ ( Bill of Rightd)বিল অফ রাইটস এর উপর ভিত্তি করে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সরকারের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো,বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত- জয়েন স্টক অফ কোম্পানিজ এন্ড ফার্ম এর অধীনে অনুমোদন প্রাপ্ত হয়ে রেজিস্টার প্রাপ্ত হয়। দেশের বৃহত্তম এই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে -জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কো ন্যাশনাল কমিশন অফ বেস্ট আইসি, জেনেভা অর্গানাইজেশন টর্চার ও এম সি টি জেনেভা কমিশন অফ হিউম্যান এন্ড পিপলস রাইট এসসি এইচপিআর এর স্বীকৃতি প্রাপ্তি সহ বিভিন্ন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি। অহিংসার প্রতিপাদ্যে বিশ্বাসী সংস্থার সারাদেশের প্রতিটি জেলা শাখা, মহানগর শাখা, উপজেলা শাখা, থানা শাখা,পৌরসভার শাখা, ইউনিয়ন শাখা, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা,ওয়ার্ড শাখা সহ প্রায় ১ হাজার ৫০০ শাখা সহ লক্ষাধিক সদস্য প্রতিনিয়ত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সহ সেচ্ছাসেবী কাজে আত্মনিয়োগ করেছে। দেশের বরেণ্য তথা বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যথাক্রমে শিক্ষাবিদ, আইনবিদ , চিকিৎসক চাত্র/ছাত্রী সহ সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের সমাজসেবীগণ সেন্টার ফর দা হিউম্যান রাইটস এন্ড লিগ্যাল এইড এর শাখা গুলোতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন সংস্থার প্রতিটি শাখা কমিটিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মহিলা প্রতিনিধি এবং সংখ্যালঘু ও উপজাতি প্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। শাখা তথা শাখার সদস্য /সদস্যরা সম্পুর্ন স্বেচ্ছাসেবী ভাবে সমাজের অন্যায় অবিচার ও জুলুমের বিরুদ্ধে আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সংস্থার প্রতিটি শাখা নিজ নিজ ক্ষেত্রে মানবাধিকার উন্নয়ন ও সংরক্ষণকল্পে অসহায় নারী পুরুষদের বিনামূল্যে আইনগত সাহায্যের লক্ষ্যে প্রশাসনের মাধ্যমে বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্ত পূর্বক নিরপেক্ষ প্রতিবাদন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করে। মানবাধিকার বিষয়ক ম্যাগাজিন নিয়মিত প্রকাশ করে। নির্যাতিত মানবতার পক্ষে আদালতে মামলা দায়ের করে। অধিকারহীন নারী পুরুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে মানবাধিকার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সেমিনার কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।মানবাধিকার বিষয়ক বিভিন্ন পত্রিকার লিফলেট ও পোস্টার প্রকাশ করে। আত্মনির্ভরশীল প্রকল্প চালু করা এবং দুর্যোগকালের সময়ে দুর্গতদের পাশে এগিয়ে আসার সহ বহুমুখী কর্মসূচি অব্যাহতভাবে পালন করে আসছে।
মুহাম্মাদ মাহমুদুল হাসান মাহমুদ

কিন্তু অনুসন্ধান করে জানা যায়, উক্ত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে যারা দায়িত্বে ছিলেন / যারা প্রতিষ্টা করেছে তারা হলেন, কাজী ফজলুল হক ( প্রতিষ্টাকালীন সভাপতি), দিলোয়ার হুসেন ভুঁইয়া (সিনিয়র সহ-সভাপতি), সৈয়দ আব্দুর রহমান ( প্রতিষ্টাতা জেনারেল সেক্রেটারি) , হাইদুল ইসলাম ( পরিচালক), কাজী মাহবুব হুসাইন (পরিচালক), সৈয়দ রুহুল আরেফিন (পরিচালক), আনোয়ারুল বারি (পরিচালক)।

এছাড়াও Center For The Enforcement Of Human Rights And Legal Aid এর নাম ভাঙ্গিয়ে ভুয়া মানবাধিকার চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুল হাসান বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় মানুষের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এমনকি সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন।কেউ উনার বিরুদ্ধে কথা বললে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাদেরকে প্রশাসন দিয়ে হেনস্তা করেছে। এই সংস্থাতে কাজ করে ভুক্তভোগীরাই আসামি হয়ে যাচ্ছে নিজের অজান্তে। যখনই সংস্থার কোনো লোক প্রশাসনের আওতায় আসে ডকুমেন্টসের কারণে তখনই কাজী মাহমুদুল হাসান অস্বীকার যায় যে, তাদেরকে সে চেনে না। এরকম অনেক প্রমাণ রয়েছে।

কাজী মাহমুদুল হাসান এর বক্তব্য অনুযায়ী তার এই সংস্থাতে একলক্ষ ৭০ হাজার রেজিষ্ট্রেড সদস্য এবং আড়াই লক্ষেরও অধিক আনরেজিস্ট্রেড সদস্য আছে। তাহলে বুঝা যাচ্ছে, কতজন মানুষকে সে বোকা বানিয়ে সে এত বছর যাবত মানবাধিকারের কার্ডের নাম করে বাণিজ্য করে আসছে! সে মানবাধিকার কার্ডের জন্য ১৫৬০ টাকা ফি নির্ধারণ করেছে তার বানানো গঠনতন্ত্রে। কিন্তু তার সাথে আরও কিছু দুষ্টুচক্র কাজ করে তার সহযোগী হিসেবে। তাদের নামে ইতিমধ্যে ৩৪ টি মন্ত্রণালয় সহ সুনামগঞ্জ, কক্সবাজার, ঝিনাইদহ, মাগুরা থানায় মামলা চলমান। সে পলাতক থেকে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সক্রিয় থেকে বর্তমানে ঢাকার মতিঝিলে একটি অফিস পরিচালনা করছে মঈনুর রশিদ চৌধুরীর মাধ্যমে। তারা কিছুদিন পর পর তাদের পরিচালনা কমিটিতে বিভিন্ন লোক নিয়োগ দেয় এমনকি তাদের ব্যাপারে কেউ কোনো আচ পেলেই তাদেরকে গোপনে যেকোনো সময় বহিষ্কার করে দেয়। এমনকি ৬৪ জেলায় মামলার হুমকিও নতুন নয়। সম্প্রতি এই প্রতারক নতুন কমিটি গঠন করেছে সেখানে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে উপদেষ্টা বানিয়েছে সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর জন্য।
কিন্তু প্রশ্নের বিষয় হচ্ছে কিভাবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ এই প্রতারকদের যাচাই বাচাই না করে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়। নাকি অন্য কোনো যোগসাজেশ আছে! না অন্য কোনো পায়তারা রয়েছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে! এটি নিয়েই জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

এদিকে সংস্থার আসল নির্বাহী পরিচালনা পরিষদের ব্যাপারে অনুসন্ধান করে জানা যায়, সংস্থার কার্যকরী পরিষদের সাতজনের মাঝে মাত্র বর্তমানে একজন জীবিত রয়েছেন তিনি সংস্থার প্রতিষ্ঠাকালীন সেক্রেটারি। উনার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বার্ধক্যজনিত নানান রোগে আক্রান্ত হইয়া প্রায় চলৎশক্তিহীন এবং শয্যাগত্ব বিধায় লিখিত ভাবে অত্র জবানবন্দি দাখিল করেন-

আমি, সৈয়দ আবদুর রহমান, পিতা- মরহুম সৈয়দ আব্দুল মাবুদ, বয়স- ৭৩ বছর, পেশা আইনজীবি, নাগরিকত্ব-বাংলাদেশী, হাল ঠিকানা: বি/৪৯, জাকির হোসেন রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭. এই মর্মে বিবৃত এবং ঘোষণা করিতেছি যে।

আমরা কতিপয় ব্যক্তিবর্গ সমাজ সেবায় ব্রতি হইয়া মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বিনা খরচায় দুঃস্থ্য জন সাধারণকে আইনী সহায়তা প্রদানের লক্ষে “সেন্টার ফর দি এনফোর্সমেন্ট অব হিউম্যান রাইটস এন্ড লিগ্যাল এইড” যাহার বাংলা অনুবাদ -মানবাধিকার বাস্তবায়ন ও আইনী সহায়তা প্রদান কেন্দ্র (CEHRLA) প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহন করি এবং সরকার নির্ধারিত দপ্তর হইতে উহা নিবন্ধিত করি।
যাহার নিবন্ধন নং: এস-১৯৩৪ (১১০)/৯৮, তাং ০৫/০৪/১৯৯৮।
বর্ণিত প্রতিষ্ঠানটি একটি কার্যনির্বাহী পরিষদ ছিলো এবং উক্ত কার্যনির্বাহী পরিষদে আমি জেনারেল সেক্রেটারী ছিলাম।
দুঃর্ভাগ্য বশতঃ জনবল এবং অর্থবলের অভাবে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ২ বছর পরেই অর্থাৎ ২০০০ সাল হইতেই সম্পূর্ণভাবেই বন্ধ হইয়া যায়। বর্তমানে বিগত ২৫ বছর যাবৎ প্রতিষ্ঠানটি দপ্তর বিহীন, পরিত্যাক্ত ও অকার্যকর এবং সদস্যগণ, কার্যনির্বাহী পরিষদ পরিচালকগণদের অনেকেই মৃত এবং অন্যদের বতর্মান অবস্থান ও ঠিকানা আমার জানা নাই।
“CEHRLA” কোন ব্যক্তিগত মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান নয় বিধায় আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ ব্যতিরেকে বা কোন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত ইচ্ছায় হস্তান্তর যোগ্য নয়।

আমি এই মর্মে অধুনা অবগত হইয়াছি যে, কিছু দুষ্টচক্র প্রতারণার লক্ষ্যে অকার্যকর ও বাস্তব ভাবে ২৫ বছর পূর্বের বিলুপ্তপ্রায় CEHRLA প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করিয়া বিভিন্ন স্থানে জনগনকে প্রতারিত করিয়া আসিতেছে। তাহারা কোথা হইতে এই প্রতিষ্ঠানের নাম/ঠিকানা পাইয়াছে তাহাও আমি জানিনা।

বর্ণিত প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বর্তমানে কাহাকেও কার্যাবলী পরিচালনা করিবার লক্ষে মৌখিকভাবে সম্মতি বা লিখিতভাবে অনুমোদন দেই নাই বা উক্ত দুষ্টচক্রের কাহাকেও আমি চিনি না বা দেখি নাই। আইনী প্রক্রিয়া সম্পাদন ব্যতিরেকে কেহ একটি সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের নামে কার্য সম্পাদন করিতে পারে না এবং আমিও পরিত্যাক্ত প্রতিষ্ঠানের জেনারেল সেক্রেটারী হিসাবে কর্ম সম্পাদনে অকার্যকর।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট