সাংবাদিকদের উদ্দেশে আমার অনুভূতি থেকে কিছু কথা ও পরামর্শ'
বার্তা সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস সিরাজগঞ্জ
বর্তমানে দেশের রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে পড়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, প্রতিটি সিস্টেম আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে কোথাও সরকারের অরাজকতা" বা বিশৃঙ্খলা'র নিয়ন্ত্রণ নেই। সবকিছু চলছে যেমন-তেমন, দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে— পরিস্থিতি ততই জটিল ও খারাপ হতে পারে। এই অবস্থায় আমাদের নিজেদের নিরাপত্তা' নিজেদেরকেই নিতে হবে!
আমি
১. অতি উৎসাহী হয়ে ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়বেন না। কোথাও গণ্ডগোল দেখলে নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে ভিডিও বা ছবি নিবেন।
২. আশেপাশে কোনো উঁচু ভবন থাকলে- উপরে উঠে ছবি বা ভিডিও নিতে পারেন।
৩. সবসময় রাস্তার একপাশে থাকবেন। কখনো পুলিশ ও মবসৃষ্টিকারীদের মাঝে অবস্থান করবেন না।
৪. প্রতিদিন ইভেন্ট কভারে (Event Cover) বের হলে সাথে হেলমেট'সহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সামগ্রী রাখবেন।
৫. কখনো একা থাকবেন না। ইভেন্ট কভারে (Event Cover) গেলে অন্যান্য সাংবাদিকদের সাথে মিলে' একসাথে থাকবেন। পরিচয় না থাকলে নিজেরাই একে অন্যের সাথে পরিচিত হয়ে নিবেন।
৬. প্রেস কার্ড দৃশ্যমান রাখুন- তবে বিপজ্জনক অবস্থায় তা গোপন রাখা উত্তম। পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
৭. লাইভ করার সময় লোকেশন শেয়ার করবেন না। প্রথমে কন্টেন্ট সংগ্রহ করুন পরে নিরাপদ স্থানে গিয়ে তা পোস্ট করুন।
৮. সেফ এক্সিট (Safe Exit) প্ল্যান ঠিক রাখুন। যেকোনো অবস্থায় দ্রুত বের হওয়ার জন্য নিকটবর্তী গলি/রাস্তা বা নিরাপদ স্থান সম্পর্কে ধারণা রাখুন।
৯. উসকানিমূলক মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে চলুন। কোন পক্ষের সাথে বিতর্কে জড়াবেন না। কেউ ক্ষেপে গেলে প্রয়োজনে সরি বলে কেটে পড়ুন। মনে রাখবেন– আপনি আক্রান্ত হলে কোনো বিচার পাবেন না।
১০. পরিবার ও অফিসকে লোকেশন আপডেট দিন। ইমার্জেন্সি কন্ট্রাক ও পরিচিত বা অফিসে লোকেশন শেয়ার করে রাখুন।
১১. প্রয়োজনে দাঙ্গা, ভাঙচুর, মারামারির প্রাথমিক প্রমাণ জুম ব্যবহার করে দূর থেকে নিন। যতটা সম্ভব ফিজিক্যাল রিস্ক (Physical risk) কমান!
১২. প্রাথমিক চিকিৎসার ছোট প্যাকেট সঙ্গে রাখুন। হালকা গ্যাস মাস্ক বা কাপড়ও রাখতে পারেন, টিয়ার গ্যাসের জন্য।
মনে রাখবেন– একটা ভালো ছবি বা ভিডিও সর্বোচ্চ ১/২ দিন চলবে- মানুষ মনে রাখবে। তবে আপনার শারিরীক ক্ষতি হলে সে ক্ষত সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। তাই কখনোই অপ্রোয়জনীয় ঝুঁকি নেবেন না। নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করে যতটা সম্ভব নিরাপদ দুরত্বে থেকে কাজ করুন।