কিশোরগঞ্জ সদর লতিবাবাদ ইউনিয়নের গ্রামবাসীর জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আল আমিন
শনিবার (২ আগস্ট) কিশোরগঞ্জ সদরের লতিবাবাদ ইউনিয়নের চার- পাঁচ গ্রামের মানুষ মিলে লতিবাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,ইউপি সদস্য ও মহিলা কাইন্সিলরকে কে নিয়ে মানববন্ধন করেছেন।
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে ব্রিটিশ আমল থেকে চার -পাঁচ গ্রামের খালের পানি এই খাল দিয়ে যায়। গত তিন বছর আগে পাবইকান্দি গ্রামের ইউসুব আলীর মেয়ের জামাই কাজল এবং মুশফিক শ্বশুরের কাছ জমি কিনে মাটি ভরাট করে দেয়াল নির্মাণ করতে গেলে এলাকাবাসী চেয়ারম্যান মেম্বারসহ বাধা প্রদান করেন। তখন ইউসুফ আলীর মেয়ের জামাই কাজল এবং মুশফিক এলাকাবাসী,চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে আশ্বাস প্রদান করেন যে পানি নিষ্কাশনের জন্য ছয় ফুট জায়গা দিবেন। ছয় ফুট জায়গা দেওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট থেকে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে একটি ড্রেন নির্মাণ করেন।পরবর্তীতে কাজল এবং মুশফিক এই ড্রেনটি ভরাট করে ফেলে এবং পানি ছাড়তে দেয়না।গ্রামবাসী খালের পানি ছাড়তে গেলে পাবইকান্দি গ্রামের জিল্লুর,মোতাহার নয়ন কে পুলিশের মাধ্যমে ধরে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়। যার ফলে চার পাঁচ গ্রামের খালের পানি আটকে যায়।চার- পাঁচ গ্রামের ফসলি জমি জলাবন্ধ হয়ে পড়ে।চার -পাঁচশ খানি ধানী ফসলের জমি চাষাবাদ করতে পারেনা।ঘর-বাড়ী জলাবদ্ধতার শিকার হয়।
আজ দুপুর বারটায় লতিবাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আ: রাজ্জাক, ইউপি সদস্য এবং চার পাঁচ গ্রামের লোকজনকে সাথে নিয়ে জলাবদ্ধ ড্রেনটি ভেঙে পানি ছেড়ে দেয়।
পাবইকান্দি গ্রামের মোতাহার বলেন,এই ড্রেনটি বন্ধ করে দেওয়ার কারনে চার-পাঁচ এলাকার মানুষ জলাবদ্ধ হয়ে আছে। পুকুর ডুবে গেছে।মানুষ পানিবন্দী।
প্রত্যক্ষদর্শী নয়ন বলেন এই জলাবদ্ধতা দীর্ঘমেয়াদি হলে মানুষের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হবে।ফসল না ফলাতে পারলে মানুষ অভূক্ত থাকবে।
মানিক মিয়া বলেন আমরা খেঁটে খাওয়া মানুষ। ফসলী জমির উপর আমরা নির্ভরশীল। জমি আবাদ না করতে পারলে আমরা খাব কি।