কিশোরগঞ্জ পৌর শহরে গভীর গর্তে ভরা মহাসড়ক,যাত্রীদের জনদুর্ভোগ নাভিশ্বাস!!
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সতাল থেকে পূর্ব তারাপাশা পর্যন্ত সড়কটি এখন জনদুর্ভোগের প্রতীক। বছরের পর বছর সংস্কারবিহীন পড়ে থাকা সড়কটি বর্তমানে অসংখ্য গর্ত আর খানাখন্দে ভরে গেছে। কোথাও হাঁটাও মুশকিল, কোথাও গর্তে অটোরিকশা হোঁচট খাচ্ছে, আবার কোথাও জমে থাকা পানিতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
বিশেষ করে আলী হোসেনের দোকান থেকে শুরু করে পূর্ব তারাপাশার আলী ভরা মোড় পর্যন্ত রাস্তার পরিস্থিতি ভয়াবহ। রাস্তার মাঝখানে বড় বড় গর্ত—যার মধ্যে সামান্য বৃষ্টিতেই জমে থাকে পানি। পথচারী, শিক্ষার্থী কিংবা যানবাহনের চালক— কেউই নিরাপদ নন এই পথে চলতে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন,
> “এত বছর ধরে রাস্তায় কোনো উন্নয়ন হয়নি। সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে যায়। এলাকার মানুষ ঘর থেকে বের হতেও ভয় পায়।”
এই রাস্তায় নেই কোনো কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ফলে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে। অপরদিকে শুকনো মৌসুমে বাতাসে উড়ে বেড়ায় ধুলোর ঝড়, যা শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য সৃষ্টি করে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
সড়কের দুরবস্থার কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। অনেকেই বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না ঠিকভাবে। চালকরা বাধ্য হয়ে বিকল্প পথ খুঁজছেন, যদিও তা সময় ও খরচ— দুই দিক দিয়েই অস্বস্তিকর।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ-রফিকুল ইসলাম বলেন,
> “সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ আগামী সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হবে। ইতোমধ্যে জরুরি ভিত্তিতে যেসব স্থানে বড় গর্ত রয়েছে, সেগুলো ভরাটের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”
তবে এলাকাবাসীর প্রশ্ন, “এই আশ্বাস কি শুধুই কথার কথা?”
তাদের দাবি—আর সময়ক্ষেপণ নয়, দ্রুত স্থায়ী সমাধান হোক, যাতে চলাচলের উপযোগী হয়ে ওঠে সড়কটি এবং জনদুর্ভোগের অবসান ঘটে।