বীর ঈশা খাঁ স্মৃতি পাঠাগারের অস্থায়ী কার্যালয়ের যাত্রা শুরু
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আল আমিন
বীর ঈশা খাঁ স্মৃতি পাঠাগারের অস্থায়ী কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। শনিবার (১২ জুলাই) কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়িতে কামাল মাস্টারের বাড়িতে অবস্থিত নতুন একটি ঘরে এ পাঠাগারের অস্থায়ী কার্যালয় চালু করা হয়।
স্থানীয় সমাজসেবক এজ্জাজ হোসেন কাজল বিনা ভাড়ায় এক বছরের জন্য ঘরটি ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন। তিনি জানান, পাঠাগারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মীর সাত্তার উদ্দিন, নবগঠিত পরিচালনা কমিটির সভাপতি আমিনুল হক সাদী ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান জামাল দাদ খাঁনের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে চাবি হস্তান্তর করা হয়।
অস্থায়ী কার্যালয়ে সাইনবোর্ড, বুকসেলফসহ প্রয়োজনীয় সাজসজ্জার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
পাঠাগার সভাপতি আমিনুল হক সাদী জানান, ২০০৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ঈশা খাঁর ১৪তম অধস্তন পুরুষ দেওয়ান আমিন দাদ খাঁ এ পাঠাগার ও জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন। তবে তার মৃত্যুর পর ২০১৩ সালে কার্যক্রম স্তব্ধ হয়ে পড়ে। নতুন কমিটির মাধ্যমে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর পাঠাগারটির নিবন্ধন সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক ঈশা খাঁর স্মৃতিবিজড়িত দরবার হলটি অধিগ্রহণ করায় পাঠাগারের স্থানান্তর জরুরি হয়ে পড়ে। ফলে মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারে কিছুদিন অস্থায়ীভাবে পরিচালিত হয়।
তিনি বলেন, “দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আজ জঙ্গলবাড়িতে পাঠাগার পুনঃস্থাপন করতে পেরে আমি গর্বিত। সবাইকে নিয়ে এই পাঠাগারকে নতুন করে গড়ে তুলব।”
স্থানীয় জিনিয়াস আইডিয়েল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবি তন্ময় আলমগীর বলেন, “ঐতিহাসিক ঈশা খাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত পাঠাগারটি টিকিয়ে রাখার জন্য আমিনুল হক সাদীর নিরলস পরিশ্রম প্রশংসার দাবিদার। এ উদ্যোগে কাজল ভাইয়ের সহযোগিতাও অনুকরণীয়।”
এলাকাবাসী মনে করছেন, বীর ঈশা খাঁ স্মৃতি পাঠাগারের এ পুনর্জাগরণ শুধু স্থানীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষায় নয়, নতুন প্রজন্মের মাঝে গৌরবোজ্জ্বল অতীতের সচেতনতা তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।