বান্দরবানের রুমায় উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের ০২ টি পুলিশের বলে শনাক্ত
নিজাম উদ্দিন;
বার্তা সম্পাদক
(কক্সবাজার,বান্দরবান):
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আস্তানায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হওয়া চারটি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে দুটি পুলিশের বলে শনাক্ত হয়েছে। গত বছরের ২ এপ্রিল রুমা সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির সময় এসব অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়েছিল কেএনএফ সন্ত্রাসীরা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৩ জুলাই রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের পলিপ্রাংসা ও মুয়ালপিপাড়ার মধ্যবর্তী একটি গিরিখাতে কেএনএফের একটি গোপন আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। সেনা অভিযানে কেএনএফ এর সশস্ত্র শাখা কেএনএ’র কমান্ডারসহ ২ সন্ত্রাসী নিহত হন। সেখান থেকে তিনটি সাবমেশিনগান (এসএমজি), একটি চায়নিজ রাইফেলসহ বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের সময় তাৎক্ষণিকভাবে অস্ত্রগুলোর উৎস শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরে যাচাই করে দেখা যায়, উদ্ধার হওয়া একটি এসএমজি ও একটি চায়নিজ রাইফেল ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে রুমা সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির সময় পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ওই ঘটনায় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশের দুটি এসএমজি, আটটি চায়নিজ রাইফেল এবং আনসারের চারটি শটগান ছিনিয়ে নেয় কেএনএফ। এ পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে পুলিশের একটি এসএমজি ও একটি চায়নিজ রাইফেল। বাকি একটি এসএমজি, সাতটি চায়নিজ রাইফেল ও চারটি শটগান এখনো উদ্ধার হয়নি।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহরাওয়ার্দ্দী বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কেএনএফ সদস্যরা মোট ১৪টি অস্ত্র লুট করেছিল। এর মধ্যে দুটি অস্ত্র এবার উদ্ধার হয়েছে। বাকি অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’
৩ জুলাই কেএনএফের গোপন আস্তানায় অভিযান ও সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণের ঘটনায় গত সোমবার (৭ জুলাই) দুটি মামলা হয়েছে। একটি সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এবং অন্যটি অস্ত্র আইনে করা হয়েছে। দুটি মামলায় কেএনএফের সভাপতি নাথান লমচেও বম (৪৫), সশস্ত্র শাখার প্রধান ভাং চুং লিয়ান বম (৪০), মুখপাত্র লাল জং ওরফে মুইয়া বম (৫২), জনসংযোগ কর্মকর্তা লাল মুনঠিয়াল ওরফে সলোমন (৪৫), অপারেশন ইনচার্জ লালরাম তোলয়াং ওরফে কুকিরাম (৪৪), লজিস্টিক ইনচার্জ লালসাং স্টুয়ার্ট বম (৪০) এবং তথ্য ও যোগাযোগ ইনচার্জ লাল সাংলন ওরফে সাংপা বমসহ (৩৯) ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জন কেএনএফ ও কেএনএ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
ওসি সোহরাওয়ার্দ্দী বলেন, ‘সব আসামি পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’