সন্ধ্যাবৃষ্টির গল্প
কবি আসাদ উল্লাহ
সন্ধ্যার বৃষ্টি ঘনিভূত হচ্ছে
টং দোকান জমে উঠেছে গায়ে লাগিয়ে গা
সাহেব, শ্রমিক, হরিজন, মলিন বালকও আছে।
বৃষ্টির গল্প থামছে না
কবিও আছেন দুজন-
চেনা নামের আড়ালে অচেনা ‘পথিক’, আরেকজন হাকিম
তারা হয়তো লিখছেন মেঘদূতের গতিপথ
অথবা পাঠ করছেন কালিদাসের নিগূঢ় প্রেম।
আকাশ নুয়ে পড়েছে আরো মুখ ভার করে
মৃত্যুর আগে যেমন নুয়ে পড়েছিলো মায়ের বিষণ্ন মুখ।
গল্প কি ভালো লাগছে সবার?
তবে চঞ্চল প্রতিটি মুখ ভাসছে সময় স্রোতে
যদিও রঙের ভিন্নতা আছে, গাঢ় নীলে চাঞ্চল্য অধিক।
একজন আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়লেন
একজন হাতে রাখা ঝাড়ুর দিকে তাকিয়ে বল্লেন-
‘নিজের কপালটাই পরিষ্কার হলো নারে হরিদাস।’
বৃষ্টি থামতে থাকে অন্ধকার ছড়িয়ে
বাড়ির পথে খেলা করে মেঘপ্লাবন জ্যোৎস্নার নিমজ্জন।