রাজশাহীর তানোরে প্রেমের নামে বিয়ে অতঃপর "প্রতারণার ফাঁদ!
ক্রাইম রিপোর্টার : নাসির উদ্দিন রাজশাহী
রাজশাহীর পবা উপজেলার রানী খাতুন (২২), তিনি লেখাপড়ার আড়ালে বিয়ে ও প্রেমের নামে অর্থবিত্ত ছেলেদের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ায় তার প্রধান কাজ। এমন অভিযোগ তুলেছেন রানীর দ্বিতীয় স্বামী মোজাহিদ হোসেন।
তার এই ফাঁদে শুধু মোজাহিদ একাই নয়। সরো জমিনে গিয়ে এলাকার তথ্য অনুযায়ী জানা যায় তার একাধিক স্বামী রয়েছে বলে জানা গেছে। অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে প্রেম ও বিয়ের নামে ফাঁদে ফেলে প্রতারণার মাধ্যমে একইভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় রানী খাতুন,এ বিষয়ে সহযোগিতা করতেন তার মা রাহেদা বেগম। বেড়িয়ে আসে তার প্রেম ও প্রতারণার নানা গল্প। গত ২৮/১১/২০২৩ তারিখে কোর্ট ম্যারেজ এর মাধ্যমে মোজাহিদ এর সাথে বিবাহ হয়।
উভয় পড়াশোনা করার কারণে ও বয়স না হওয়ায় তারা নিজ নিজ পিতার বাড়ীতে বসবাস করতো, মাঝে মাঝে তারা একত্রে থাকতো। দুইজনার প্রেমের গল্প।
রানী ও মোজাহিদের সঙ্গে পরিচয়ের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিন্তু মোজাহিদ তখনও জানতো না প্রেমিকা রানী বিবাহিত। তার একটি সংসার রয়েছে।সব বাঁধা পেরিয়ে জমে উঠে মোজাহিদ-রানীর প্রেম। প্রেম যত গভীর হতে লাগে রানীর চাহিদা ততই বেড়ে যায়। দুজনের সম্মতিক্রমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পরেই প্রকাশ পায়,
আমি ছাড়া আরো দুইজনকে বিবাহ করেছে, বিষয়টি আমি জানতে চাইলে রানী উল্টা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ মিথ্যা মামলার হুমকি দেয়। বেরিয়ে আসে রানীর প্রতারণার ফাঁদ তবুও সংসার করতে চায় মোজাহিদ। এবার শুরু হয় নানা ভাবে টাকা হাতিয়ে নেয়ার কৌশল। এবার সেই রানী
বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার ও অকারণে খারাপ আচরণ করতে থাকে মোজাহিদের সঙ্গে।
এক পর্যায়ে রানী চলে যায় মায়ের কাছে,
পরবর্তীতে জানতে পারি ১৭/০২/২০২৫ ইং তারিখ রানী রাজশাহীর বিজ্ঞ আদালতে আমার অথাৎ মোঃ মোজাহিদ হোসেন (১৯), পিতাঃ মোঃ মোতাহার হোসেন, সাং-কাঠালপাড়া, ডাকঘর। চাঁন্দুড়িয়া, থানাঃ তানোর, জেলাঃ রাজশাহী এই
নামে যৌতুক এর মিথ্যা মামলা দায়ের করে। বর্তমানে উক্ত মামলা বিজ্ঞ আদালতে চলমান অবস্থায় রয়েছে। তার পর ০৭/০৭/২০২৫ তারিখ দুপুর অনুমান ১২.৩০ ঘটিকার সময় আমিসহ আমার আত্মীয় স্বজন পবা থানাধীন নওহাটা পৌরসভা অধিনস্থ বসন্তপুর গ্রামে রানীর বাড়ীতে গেলে আমাদের বিভিন্ন রকমের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ও প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আমাদের নিকট থেকে টাকা দাবী করে। তখন আমি বলি, রানী আমার বাড়ী থেকে ব্যবহার করার জন্য আমার নানীর কানের দুল ও আমার মায়ের হাতের বালা নিয়ে মায়ের বাড়ীতে নিয়ে আসে।এমতাবস্থায় নিরুপাই হয়ে তানোর থানার সরনাপন্ন হয়ে ১।নং আমার স্ত্রী মোসা: রানী খাতুন (২২), পিতা: মো: নাজিম উদ্দিন, ২। নং আমার শাশুড়ি মোসা: রাহেদা বেগম (৫০), স্বামী: মোঃ নাজিম উদ্দিন, উভয়সাং: বসন্তপুর, পোষ্ট: বাগধানী, থানা: পবা, জেলাঃ রাজশাহী এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি।এ বিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন জানান এমন বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, উক্ত ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।