লামায় জাফর ও আরফাত গংয়ের বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টা
নিজাম উদ্দিন;
বার্তা সম্পাদক
(কক্সবাজার,বান্দরবান):
বান্দরবানের লামা উপজেলায় এক আইনজীবি ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টা ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী তোফাজ্জল তোসেন (৪৫) ও তার পরিবার।
শুক্রবার ( ৪ জুলাই) বিকেলে লামা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তুলেন ভুক্তভোগীরা। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে নাজিম উদ্দিন, তোফাজ্জল হোসেন ও নুরুল ইসলাম মিলন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হাসান লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, লামায় আইনজীবি মো. জাফর আলম ও তার ভাই আরাফাত সহ একটি বহিরাগত সংঘবদ্ধ চক্র তাদের পিতা আনোয়ার হোসেন ও তার মা নুরজাহান বেগমের নামীয় ও ভোগ দখলীয় জায়গা জবর দখলের চেষ্টা করছে।
অভিযুক্তরা লামার পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা জাফর আলম ও তার ভাই মো. আরাফাত। সংবাদ সম্মেলনে জমি জবর দখল করতে না পেরে অভিযুক্তরা আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. নাজিম উদ্দিন ও তোফাজ্জল হোসেনসহ পরিবারের অন্য সদস্যদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছেন বলেও দাবী করা হয়। এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষায় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী নাজমুল হাসান উল্লেখ করে বলেন, ১৯৮০-৮১ সালে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ২৮৪নং ইয়াংছা মৌজায় আমার বাবা আনোয়ার হোসেন আর/৩২৫ মূলে ৫ একর ও মা নুর জাহান আর/৩১৪নং হোল্ডিং মূলে ৫ একর জায়গা বন্দোবস্তি পায়। আমার বাবা আনোয়ার হোসেন জীবিত থাকাবস্থায় বন্দোবস্তিকৃত জায়গায় ফলদ বনজ গাছের বাগানসহ খামার ঘর সৃজন করে ভোগ করেছেন। ২০২৪ সালে বাবা-মা মারা যাওয়ার পর আমরা ওয়ারিশরা জায়গা ভোগ করে আসছিলাম। বাবার তৈরি করা খামার ঘর নষ্ট হয়ে যাওয়ায় গত বছরের নভেম্বর মাসে আমরা আরও একটি খামার ঘর তৈরি এবং বাগানের আগাছা পরিস্কার করি। গেল কোরবানির ঈদের সময় সপ্তাহ খানেক আমরা খামার বাড়িতে যেতে পারিনি। এই সুবাদে গত ২ জুন রাতের আধাঁরে আমাদের নির্মিত ঘরটি মো. আরাফাত ও তার ভাই জাফর আলমসহ অজ্ঞাত নামা বহিরাগত ব্যক্তিরা ভেঙ্গে ফেলেন। এ সময় অভিযুক্তরা আমাদের বাগানের ২০-২৫ টি গাছও কেটে নিয়ে যায়। এরপর অভিযুক্তরা আমাদের অবর্তমানে বাগানসহ জায়গা দখল চেষ্টায় লিপ্ত হন। জায়গা জবর দখলে বাঁধা দিলে তারা আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ নানা হুমকি ধমকি অব্যাহত রাখেন। এ ধারাবাহিকতায় গত ২৫ জুন জাফর আলম’র ভাই মো. আরাফাত (৩০) বাদী হয়ে আর/৩৫৭ নং হোল্ডিং এর একটি বায়নানামা উপস্থাপন করে বিজ্ঞ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারা মোতাবেক ও ১ জুলাই মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে আমাকে, আমার ভাই নাজিম ও খামারের কর্মচারীসহ ৫ জনকে বিবাদী করে বিজ্ঞ উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরও রকেটি মামলা করেন। তোফাজ্জল হোসেন আরও বলেন, শেষমেষ পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষায় গত ১ জুলাই বিজ্ঞ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারা মতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আমি বাদী হয়ে ফৌজদারী অভিযোগ করি। আমরা বহিরাগত আরাফাত কর্তৃক মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই চাই।
এদিকে লামা কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জাফর আলম, নাজমুলদের সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে তাকে ঘিরে মিথ্যা ও মান হানীকর তথ্য দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের সাথে জমি বিরোধ রয়েছে, যা আইন আদালত অথবা সামাজিক সমঝোতায় সমাধান হতে পারে। ভাই হিসেবে আমি ভাইকে আইনগত সহযোগিতা করতেই পারি। তাই বলে আমাকে জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে আমার মানক্ষুন্ন করতে পারেন না কেউ