1. shahinsalman99@gmail.com : দৈনিক আজকের জনতার কথা : দৈনিক আজকের জনতার কথা
  2. info@www.dainikajkerjanatarkotha.online : দৈনিক আজকের জনতার কথা :
রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সিরাজগঞ্জে ডিলারের বিরুদ্ধে সার চুরি ও অতিরিক্ত দামে বিক্রির অভিযোগ রাজশাহী ৩ আসনে লিফলেট বিতরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন ইকবাল হোসেন কুড়াখাল ও মগপুস্কুরিনীকে মডেল গ্রাম গড়ার উদ্যোগ খানজাহান আলী থানার ১টি ওয়ার্ড ও ২টি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরাইলে প্রস্তুতি সভা ৫২টি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে ১৫ বছর পর সম্মেলনে ফখরুলের হুঁশিয়ারি: যে নেতার নামে স্লোগান হবে, সেই মাইনাস হবেন ফুলপুরে ইউনিয়ন কৃষক দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত দুইটি শব্দ(কবিতা) পবা উপজেলার দর্শন পাড়া ইউনিয়ন রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত এ রায়হানুল আলম রায়হান এর উঠান বৈঠক “ভাইরাল ছবিতে বিতর্কে স্কুল কমিটি সদস্য”

মিঠামইনে ভিজিডি চাল বিতরণে দুর্নীতি: ইউপি সচিব ও প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আল আমিন
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে

মিঠামইনে ভিজিডি চাল বিতরণে দুর্নীতি: ইউপি সচিব ও প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আল আমিন

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজর ইউনিয়নে হতদরিদ্র নারীদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিডি (VGD) চাল বিতরণে ঘুষ গ্রহণ ও আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এর আওতায় মামলা হয়েছে।

গত ২০ জুন স্থানীয় সমাজসেবী আখিনুর আক্তার থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ইউপি সচিব মো. আলমগীর হোসেন ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ওসমান হোসেন প্রত্যেক ভিজিডি কার্ডধারীর কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে ঘুষ দাবি করেন। যারা টাকা দিতে পারেননি, তাদের চাল দেওয়া হয়নি।

একজন ভুক্তভোগী বাসিন্দা হারিছ মিয়া জানান, “ইউপি সচিব বলেছেন—টাকা দিলে চাল পাবে, না দিলে নয়।”
মামলার বাদী আখিনুর আক্তার অভিযোগ করেন, “চাল না দেওয়ার পাশাপাশি তারা প্রতিবাদকারীদের হয়রানি করেছে এবং সরকারের চাল আত্মসাৎ করতে চেয়েছে। সচিব আলমগীর হোসেন দুর্নীতির টাকায় কিশোরগঞ্জ শহরের শোলাকিয়া বনানী মোড়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন।”

এ বিষয়ে মিঠামইন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের বক্তব্য নিতে তাঁর কার্যালয়ে গেলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিব বর্তমানে জেল হাজতে থাকায় তাঁদের পক্ষ থেকেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অভিযোগ রয়েছে, সচিব আলমগীর হোসেন পরিষদের বিভিন্ন সেবা—যেমন জন্মনিবন্ধন, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা প্রাপ্তিতে অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে গরীব সেবাপ্রার্থীদের পরিষদের ভেতরে অপমান ও লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। কেউ প্রতিবাদ করলে মারধর ও মামলা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে জানায় এলাকাবাসী।

স্থানীয় সমাজসেবক মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, “এই সচিব ও প্যানেল চেয়ারম্যানের অত্যাচারে আমরা এলাকাবাসী অত্যন্ত ভীত। প্রতিদিন ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে জীবনযাপন করছি। তাদের প্রভাবের কারণে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।”

এদিকে, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য সাজু বেগমের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে। আরশি বেগম নামের এক ভুক্তভোগী জানান, “ভিজিডি চাল পাওয়ার জন্য আমার কাছে ১,০০০ টাকা দাবি করেন সাজু বেগম। আমার ভোটার আইডি কার্ড চেয়েছেন এবং বারবার বাড়িতে এসে টাকা চেয়েছেন। আমি গরীব মানুষ, টাকা না দিতে পারায় আমাকে চাল দেওয়া হয়নি।”

এক সপ্তাহ পার হলেও এলাকায় উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর দাবি—দুর্নীতিতে জড়িত সকল ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট