কিশোরগঞ্জে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে রেলওয়ে ওসির বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আল আমিন
কিশোরগঞ্জে পৈত্রিক বসতবাড়ির গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে রেলওয়ে থানার ওসি মো. লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, থানায় গাছ কাটার বিষয় নিয়ে গেলে মামলার ভয় দেখিয়ে ঘুষ দাবি করেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) কিশোরগঞ্জ জেলার ইশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারোবাড়ি ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামে। অভিযোগকারী মো. রতন মিয়া জানান, তার বসতভিটায় থাকা একটি রেইনট্রি গাছ কাটার সময় রেলওয়ে পুলিশের একটি দল এসে গাছসহ ট্রলি আটকে দেয়। পরে ওসির সঙ্গে দেখা করতে বললে, তার স্ত্রী ও জামাতা দ্বীন ইসলাম কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানায় যান।
দ্বীন ইসলাম জানান, পুলিশের বাধার পর তারা থানায় গেলে ওসি লিটন মিয়া প্রথমে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার পর গাছ কাটতে আর বাধা দেওয়া হবে না বলে আশ্বস্ত করেন।
রতন মিয়ার স্ত্রী কমলা আক্তার বলেন, “আমার জামাইয়ের জায়গায় থাকা গাছ কাটছিলাম। পরে রেলওয়ে পুলিশ এসে বাধা দেয়। আমি হাতভাঙা অবস্থায় থানায় গেলে ওসি মামলা দিয়ে ঘরবাড়ি বিক্রি করতে হবে এমন হুমকি দেন। টাকা চাইলে আমি প্রথমে তিন হাজার টাকা দিই, পরে জামাই মোবাইল থেকে আরও দুই হাজার টাকা পাঠায়।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রেলওয়ে থানার ওসি মো. লিটন মিয়া। তিনি বলেন, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিষেধ আছে বলে আমি বিস্তারিত বলতে পারছি না। তবে গাছ কাটার বিষয়ে পিডব্লিউ রাজন সাহেবের ফোন পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। পরদিন লোকজন থানায় আসলে তাদের জানাই, এটি রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের বিষয়। আমার সঙ্গে কোনো আর্থিক লেনদেন হয়নি।”
রেলওয়ের উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পিডব্লিউ) আনিসুজ্জামান রাজন জানান, “আমি কেবল আইডব্লিউ ও থানাকে জানিয়েছি। পরে কি হয়েছে জানি না। কেউ আমার নাম ভাঙিয়ে টাকা নিয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী মহলের নাম ভাঙিয়ে পুলিশি হয়রানি এবং আর্থিক লেনদেন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।