ইসরায়েলে থমথমে পরিস্থিতিঃ ইরানের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় ভূগর্ভস্থ টানেলে ইসরায়েলি জনগণ, জনজীবন স্তব্ধ !
প্রধান বার্তা সম্পাদক- জাহারুল ইসলাম জীবন।
মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা আবারও ইসরায়েলের জনজীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। ইরানের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েলের উত্তর প্রান্ত থেকে শুরু করে দেশের অধিকাংশ স্থানের সাধারণ জনগণ এখন ভূগর্ভস্থ টানেল এবং সুরক্ষিত আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। দেশের সর্বত্র বিরাজ করছে এক থমথমে ও ভীতিকর পরিস্থিতি।
ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে এক জরুরি নির্দেশনায় সাধারণ জনগণকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে এবং নিরাপদ স্থানে অবস্থান গ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই নির্দেশনার পরপরই সমগ্র ইসরায়েলের জনজীবনে এক অভাবনীয় পরিবর্তন এসেছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি, দেশের বড় বড় শপিং মল, অফিস-আদালত এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের প্রধান শহরগুলোর রাস্তাঘাট প্রায় জনমানবশূন্য। যে ইসরায়েল সাধারণত কর্মচঞ্চল ও প্রাণবন্ত থাকে, সেই দেশের উপরিভাগে এখন এক নীরব, অচেনা ও প্রায় জনমানবশূন্য চিত্র বিরাজ করছে। অধিকাংশ সাধারণ ইসরায়েলি জনগণ, বিশেষ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে, এখন নিজেদের জীবন বাঁচাতে ভূগর্ভস্থ বিভিন্ন টানেল ও বম্ব শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে। খাদ্য, পানীয় এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর স্বল্পতার আশঙ্কায় অনেকেই জরুরি মজুদ সংগ্রহ করে রেখেছেন।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সকল প্রকার জরুরি পরিষেবা প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিরাপত্তা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সামরিক বাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের চলমান অস্থিরতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। আন্তর্জাতিক মহল ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা এখনো এক সুতোর উপর ঝুলে আছে। ইসরায়েলের জনগণ এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে, এবং সকলের একটাই প্রার্থনা – যেন কোনো বড় ধরনের সংঘাত ছাড়াই এই পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হয়।