আজ বিশ্ব বাবা দিবসঃ গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় অনন্য হয়ে উঠুক সকল বাবার অন্তর।

প্রধান বার্তা সম্পাদক- জাহারুল ইসলাম জীবন।

আজ বিশ্ব বাবা দিবস। এই বিশেষ দিনে আমরা বিশ্বের সকল পিতাকে তাদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, ত্যাগ এবং পরিবারের প্রতি অকৃত্রিম অবদানের জন্য শ্রদ্ধা জানাই। বাবা হলেন পরিবারের মেরুদণ্ড, যিনি ছায়ার মতো আগলে রাখেন তার সন্তানদের, পথ দেখান জীবনের প্রতিটি ধাপে।
বিশ্ব বাবা দিবসের প্রেক্ষাপটঃ-
বাবা দিবস উদযাপনের ধারণাটি প্রথম আসে বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে। ১৯১০ সালে ওয়াশিংটন রাজ্যের স্পোকেন শহরে সোনোরা স্মার্ট ডড নামের এক নারী তার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই দিবসের সূচনা করেন। তার বাবা, উইলিয়াম জ্যাকসন স্মার্ট, ছিলেন একজন সিভিল ওয়ার ভেটেরান, যিনি তার স্ত্রীকে হারানোর পর ছয় সন্তানকে একা হাতে মানুষ করেছিলেন। সোনোরা তার বাবার আত্মত্যাগ দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন এবং মা দিবসের মতো বাবা দিবসেরও প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। ধীরে ধীরে এই ধারণাটি জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং ১৯৩৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম জাতীয়ভাবে বাবা দিবস পালিত হয়। এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জুন মাসের তৃতীয় রোববার বাবা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
বাবার ভূমিকা ও গুরুত্বঃ-
বাবা শুধু একটি শব্দ নয়, এটি নির্ভরতা, শক্তি, এবং ভালোবাসার এক অবিচ্ছেদ্য প্রতিচ্ছবি। বাবারা তাদের সন্তানদের স্বপ্ন পূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যান, তাদের আত্মবিশ্বাস জোগাতে সর্বদা পাশে থাকেন। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে পরিবারের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা থেকে শুরু করে সন্তানদের নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ শেখানো পর্যন্ত, বাবারা প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা খেলার সাথী, শিক্ষক, বন্ধু এবং সর্বোপরি একজন গাইড হিসেবে সন্তানদের জীবনে অপরিহার্য।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে্ বাবা দিবসঃ-
আজকের দিনে বাবা দিবসের তাৎপর্য আরও গভীর। কর্মব্যস্ত জীবনে যেখানে অনেক সময় বাবা-মায়ের সাথে সরাসরি যোগাযোগ কমে আসে, সেখানে এই দিনটি একটি সুযোগ করে দেয় বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশের। সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও আমরা এই দিনে বাবাকে শুভেচ্ছা জানাতে পারি। বিভিন্ন সংস্থা এবং পরিবার এই দিনে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, বাবার জন্য উপহার কেনা হয়, অথবা একসাথে সময় কাটানো হয়।
কিছু বিশেষ মুহূর্তঃ-
** স্মৃতিচারণ: অনেকেই তাদের বাবার সাথে কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলোর স্মৃতিচারণ করেন।
** কৃতজ্ঞতা প্রকাশ: বাবাকে ধন্যবাদ জানানো হয় তার সকল ত্যাগের জন্য।
** ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: বাবার সাথে ভবিষ্যতের জন্য নতুন পরিকল্পনা করা হয়, যা পরিবারের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করে।
শেষ কথার প্রতিপাদ্যতায় শিকার করতে-ই হয় যে, প্রতিটি মানব সভ্যতার পিছনে বাবারা আমাদের জীবনে কতটা অপরিহার্য। তাদের অবদানকে কখনোই ছোট করে দেখা উচিত নয়। বিশ্ব বাবা দিবসের এই দিনে আমরা শপথ করি, বাবার প্রতি আমাদের ভালোবাসা এবং সম্মান যেন সারাজীবন অক্ষুণ্ন থাকে। আসুন, আজকের এই দিনে আমাদের বাবাকে জানাই অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। শুভ বাবা দিবস!