রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘মুন্না’র অনুপস্থিতিতে ভয়ংকর হয়ে উঠেছে ফরিদ
নিজাম উদ্দিন;
বার্তা সম্পাদক (কক্সবাজার,বান্দরবান):
উখিয়ার কুতুপালং রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শীর্ষ সন্ত্রাসী মুন্নার অনুপস্থিতিতে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ হিসেবে পরিচিত ফরিদ এখন সাধারণ রোহিঙ্গাদের জন্য আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ফরিদের নেতৃত্বে ৬০ থেকে ৭০ জনের একটি অস্ত্রধারী গ্রুপ ক্যাম্পে অপহরণ, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও নানা অপরাধে সক্রিয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছয় বছর আগে ক্যাম্পের ই-ব্লকে বসবাসকারী জাফরের ছেলে ফরিদের অপরাধ জগতে প্রবেশ ঘটে মুন্নার হাত ধরেই। বর্তমানে ফরিদ একাধিক মামলার আসামি, যার মধ্যে রয়েছে অপহরণ ও হত্যার মতো গুরুতর অভিযোগ।
সম্প্রতি, ১৫ মে (বৃহস্পতিবার) রাতে রেজিস্টার্ড ক্যাম্প এলাকায় ফরিদ ও তার সহযোগীরা গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। তবে পুলিশের তাৎক্ষণিক অভিযানে তারা পালিয়ে যায়।
এর আগে ২০২৪ সালের ২৯ নভেম্বর, নয়াপাড়া ক্যাম্প থেকে পুলিশি প্রহরায় থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী কামালকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয় মুন্না গ্রুপের সদস্যরা। এ ঘটনায় ফরিদের জড়িত থাকার তথ্যও রয়েছে।
একজন রোহিঙ্গা ইমাম নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “ফরিদের ভয়ে আমরা রাতে ঘুমাতে পারি না। তার কোনো অপরাধ নেই এমন বলা ভুল হবে। দিনদিন সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।”
রোহিঙ্গা যুবক সাদেক (ছদ্মনাম) জানান, “ফরিদকে চাঁদা না দিলে কেউ ক্যাম্পে কাজ করতে পারে না। তার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। আমরা চাই, তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ সিরাজ আমীন বলেন, “ক্যাম্পে অপরাধ দমনে আমাদের সদস্যরা সর্বদা সতর্ক রয়েছে। ফরিদসহ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে নিয়মিত বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।