1. shahinsalman99@gmail.com : দৈনিক আজকের জনতার কথা : দৈনিক আজকের জনতার কথা
  2. info@www.dainikajkerjanatarkotha.online : দৈনিক আজকের জনতার কথা :
রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ঐতিহ্য মেনে শোলাকিয়ায় ঈদুল আজহার ১৯৮তম জামাত অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব জনাব জাহারুল ইসলাম জীবনের ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বাণীঃ দেশ ও দেশের প্রবাসী সকল ভাই- বোনদেন প্রতি পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ” আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শেখ শাহীন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব জনাব জাহারুল ইসলাম জীবনের ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বাণীঃ- ” প্রিয়, দেশ ও দেশের বাহিরের সকলের প্রতি রহিল অগ্রিম ঈদুল আজহার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন “-** ঈদ মোবারক** মানবাধিকার সেক্রেটারি মোহাম্মদ গোলাম মাওলা পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খুলনা বিভাগ সহ মংলা রামপাল বাসীকে। পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশবাসী ও প্রবাসী ভাই ও বোনদের ” ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার সিনিয়র:ভাইস -চেয়ারম্যান শেখ শাহীন বোমা হামলা চাঁদাবাজি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিএনপির মতবিনিময় সভা পাকুন্দিয়ায় বাসচাপায় হাফেজ সারোয়ার নিহত ★ঈদ মোবারক!-ঈদুল আজহা’র বিশেষ অগ্রিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা★ আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহাঃ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত আত্মশুদ্ধি ও ভ্রাতৃত্ববোধে সামাজিক সংহতি !

ঠাকুরগাঁওয়ে পায়ের আঙুলে লেখা জীবনের গল্প, রাজিয়া খাতুনের স্বপ্ন শুধু একটি চাকরি ।

মোঃ মজিবর রহমান শেখ বার্তা সম্পাদক,ঠাকুরগাঁও ,,
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ে পায়ের আঙুলে লেখা জীবনের গল্প, রাজিয়া খাতুনের স্বপ্ন শুধু একটি চাকরি ।

মোঃ মজিবর রহমান শেখ
বার্তা সম্পাদক,ঠাকুরগাঁও ,,

জন্ম থেকেই দুই হাত অকার্যকর। আঙুলগুলো খাটো, বাঁকা, স্পর্শ করার শক্তিটুকুও ঠিক নেই। কিন্তু পা-ই হয়ে উঠেছে তার আশার দিগন্ত। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মিস্ত্রিপাড়া গ্রামের রাজিয়া খাতুন সেই মানুষ, যিনি পায়ের আঙুলে কলম ধরে এসএসসি থেকে স্নাতক পর্যন্ত প্রতিটি পরীক্ষায় পাস করেছেন। মাস্টার্স পরীক্ষাও দিয়েছেন, একটি বিষয়ে অকৃতকার্য হলেও থেমে যাননি। এবার তার একমাত্র চাওয়া—নিজের যোগ্যতায় একটি চাকরি।
সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির এক কোণে পায়ের আঙুলে কলম ধরে চাকরির আবেদনপত্র লিখছিলেন রাজিয়া। পাশে ছিলেন স্বামী আবু সুফিয়ান ও ছোট্ট কন্যা। দৃশ্যটি যেন জীবনের প্রতিচ্ছবি—সংগ্রাম, স্বপ্ন আর অদম্য ইচ্ছাশক্তির গল্প।
রাজিয়ার বাড়ি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মিস্ত্রিপাড়া গ্রামে। বাবা দিনমজুর, মা গৃহিণী। ভাইয়েরা প্রাথমিকের গণ্ডিও পেরোতে পারেননি, অথচ রাজিয়া ঠিকই কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়েছেন। শুধু পড়াশোনাই নয়, প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্ত ছিল তার কাছে সংগ্রামের। ২০২৩ সালে রাজিয়ার বিয়ে হয় একই এলাকার দিনমজুর আবু সুফিয়ানের সঙ্গে। সংসারে আসে এক ফুটফুটে কন্যাসন্তান। ভালোবাসা আর মমতায় গড়ে ওঠা ছোট্ট সংসারটি হঠাৎ ছন্দপতনে ভেঙে পড়ে—কাজ করতে গিয়ে আহত হন সুফিয়ান। এখন আর আগের মতো উপার্জন করতে পারেন না। এই কঠিন বাস্তবতায় রাজিয়া ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কাছে একটি চাকরির আবেদন করেন। বলেন, ‘হাতে কিছু পারি না, কিন্তু মন দিয়ে সব পারি। শুধু একটা চাকরি চাই, যেন আমার পরিবারটা বাঁচে, আমার মেয়ের ভবিষ্যৎটা নিরাপদ হয়।’ দাপ্তরিক সহানুভূতি থাকলেও এখনো মেলেনি কাঙ্ক্ষিত চাকরিটি। কয়েকটি চাকরির পরীক্ষায় ভালো করলেও সাক্ষাৎকার বোর্ডে গিয়েই ফিরে আসতে হয়েছে। ‘শুধু শারীরিক অবস্থা দেখে কেউ আর ডাকেন না।’ বলেন রাজিয়া, ‘খুব অপমান লাগে। মনে হয়, শুধু একটু সুযোগ পেলেই প্রমাণ করতে পারতাম—আমি পারি।’স্বামী আবু সুফিয়ান বলেন, ‘রাজিয়া শুধু স্ত্রী না, সে আমার অনুপ্রেরণা। সে পা দিয়ে রান্না করে, ঘর সামলায়, সন্তানকে দেখে। সরকার যদি তার জন্য একটা চাকরির ব্যবস্থা করত, আমাদের জীবনে নতুন আলো আসত।’পায়ে লিখে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কাছে চাকরির আবেদন করছেন প্রতিবন্ধী রাজিয়া। পায়ে লিখে জেলা প্রশাসকের কাছে চাকরির আবেদন করছেন প্রতিবন্ধী রাজিয়া। ঠাকুরগাঁও আইনজীবী সমিতিতে তোলা ছবিতে পাশে স্বামী আবু সুফিয়ান ও তাঁদের মেয়ে। প্রতিবেশীরাও অবাক রাজিয়ার সাহস দেখে। সালেহা বেগম নামের একজন বলেন, ‘ওর মতো মেধাবী আর পরিশ্রমী মেয়ে খুব কম দেখা যায়। ওকে সহায়তা করা রাষ্ট্রের কর্তব্য।’
ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক মনোতোষ কুমার দে বলেন, ‘রাজিয়ার মতো শিক্ষিত প্রতিবন্ধী নারীর জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সরকারের নৈতিক দায়। তার মতো ব্যতিক্রমী উদাহরণ সমাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’রাজিয়ার পায়ে লেখা প্রতিটি বাক্য, প্রতিটি আবেদনপত্র যেন সমাজের কাছে এক নীরব প্রশ্ন—‘যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আমি কেন বঞ্চিত?’

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট