ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ দ্রুত-ই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছেঃ এই যুদ্ধ কি দক্ষিণ এশিয়া ও বিশ্ববাসীর জন্য পারমাণবিক যুদ্ধের মারাত্মক অশনি সংকেত !
প্রধান বার্তা সম্পাদক- জাহারুল ইসলাম জীবন।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে দ্রুত গতিতে, যা দক্ষিণ এশিয়া সহ বিশ্ববাসীর জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং স্থানীয় সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, দ্রুততার সহিত দুই দেশই যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণতির দিকে ধাবিত হচ্ছে।
প্রথম পর্যায়ের সংঘাতের পরই পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় উভয়পক্ষের সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং পাল্টাপাল্টি হুমকির কারণে যুদ্ধের দামামা দ্রুত এগিয়ে আসছে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশেই উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকগুলোর সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের তীব্রতা এবং স্থিতিশীলতা। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, যদি এই বৈঠকগুলোতে কোনো ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, চরম পরিস্থিতিতে উভয় দেশই তাদের মারাত্মক ধ্বংসাত্মক পারমাণবিক বোমা বহনকারী মিসাইল এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক মারানাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার শুধু ভারত ও পাকিস্তানের জন্যই নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য এক বিপর্যয় ডেকে আনবে।
আন্তর্জাতিক মহল ইতিমধ্যেই এই ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার কথা বলা হয়েছে।
তবে মাঠের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় দুই দেশী-ই বিমান ও মিসাইল হামলা সহ সীমান্ত এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই গোলাগুলি, মর্টার সেল ও নানামূর্খী সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই হামলায় অভয় দেশেরই সাধারণ জনগণের জানমালের ওপর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে এবং সাধারণ-বেসামরিক বেশকিছু নাগরিক হতাহত হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিনিয়তই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এবং অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে অন্যত্র সরে যাচ্ছেন।
এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আরও অস্থির হয়ে উঠেছে। বিশ্ব নেতারা মনে করছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু হলে এর প্রভাব শুধু এই অঞ্চলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং বিশ্ব অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপরও এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে।
এখন দেখার বিষয়, উভয় দেশের নেতৃত্ব সংকট সমাধানে কতটা আন্তরিক হন এবং আলোচনার টেবিলে বসে কোনো শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছাতে পারেন কিনা। তবে বর্তমানের উত্তপ্ত পরিস্থিতি এবং বৈঠকের ফলাফল নিয়ে অনিশ্চয়তা বিশ্ববাসীকে এক গভীর উদ্বেগের মধ্যে রেখেছে।