1. shahinsalman99@gmail.com : দৈনিক আজকের জনতার কথা : দৈনিক আজকের জনতার কথা
  2. info@www.dainikajkerjanatarkotha.online : দৈনিক আজকের জনতার কথা :
রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সিরাজগঞ্জে ডিলারের বিরুদ্ধে সার চুরি ও অতিরিক্ত দামে বিক্রির অভিযোগ রাজশাহী ৩ আসনে লিফলেট বিতরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন ইকবাল হোসেন কুড়াখাল ও মগপুস্কুরিনীকে মডেল গ্রাম গড়ার উদ্যোগ খানজাহান আলী থানার ১টি ওয়ার্ড ও ২টি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরাইলে প্রস্তুতি সভা ৫২টি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে ১৫ বছর পর সম্মেলনে ফখরুলের হুঁশিয়ারি: যে নেতার নামে স্লোগান হবে, সেই মাইনাস হবেন ফুলপুরে ইউনিয়ন কৃষক দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত দুইটি শব্দ(কবিতা) পবা উপজেলার দর্শন পাড়া ইউনিয়ন রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত এ রায়হানুল আলম রায়হান এর উঠান বৈঠক “ভাইরাল ছবিতে বিতর্কে স্কুল কমিটি সদস্য”

ঠাকুরগাঁওয়ে রুহিয়ায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর ট্যাব আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ !

মোঃ মজিবর রহমান শেখ বার্তা সম্পাদক, ঠাকুরগাঁও,
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৪ মে, ২০২৫
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ে রুহিয়ায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর ট্যাব আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ !

মোঃ মজিবর রহমান শেখ
বার্তা সম্পাদক, ঠাকুরগাঁও,

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়ায় এক মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ঐ মাদ্রাসার ২ মেধাবী শিক্ষার্থীর মোবাইল ট্যাব আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানা যায়, রুহিয়া থানাধীন ১নং– রুহিয়া ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে অবস্থিত মধুপুর ঈদগাহ্ দাখিল মাদ্রাসা। ২০২৩ সালের কথা, ঐ মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী হাসিনা এবং অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুমি আক্তার। দুজনেই বার্ষিক পরীক্ষায় মেধাতালিকায় ১ম স্থান অধিকার করায় শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে ২ জনের নামে ২টি মোবাইল ট্যাব বরাদ্দ আসে। কিন্তু ঐ মাদ্রাসার সুপার মো. রুহুল আমিন বিষয়টি গোপন রেখে ট্যাব ২টি আত্মসাতের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে ৬ মাস পর হাসিনার পরিবার টের পেয়ে মাদ্রাসার সুপারের নিকট ট্যাবটি চাইলে সুপার টালবাহানা শুরু করে। পরে অনেক বাকবিতন্ডার পরে হাসিনার ট্যাব টি ফেরৎ দিলেও সুমির ট্যাব টি সুপার তার ছেলেকে দেয়। দীর্ঘ দুই বছর সুপারের ছেলে সুমির নামে বরাদ্দ প্রাপ্ত ট্যাব টি ব্যবহার করে। ইতোমধ্যে সুমিও জানতে পারে তার নামে বরাদ্দকৃত ট্যাব টি মাদ্রাসা সুপারের ছেলে ব্যবহার করছে। বিষয়টি সুমির পরিবার সহ এলাকাবাসী টের পেয়ে মাদ্রাসা সুপার রুহুল আমিনকে অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখলে তিনি ট্যাব টি সুমির হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, আমাদের মাদ্রাসার সুপার ৪টি নিয়োগ বাবদ প্রায় অর্ধকোটি টাকা লোপাট করেছে। শেষ পর্যন্ত ২টি মেধাবী ছাত্রীর ট্যাব এর লোভ সামলাতে পারেনি। আমরা ধিক্কার জানাই এরকম সুপারকে। মধুপুর ঈদগাহ্ দাখিল মাদ্রাসার ২০২৩ সালের অষ্টম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী বর্তমানে দাখিল পরীক্ষার্থী সুমি আক্তার বলেন, আমি অতিসম্প্রতি ট্যাব এর কথা জানতে পেরে আমার আব্বাকে জানাই। আব্বা কতিপয় প্রতিবেশিকে নিয়ে সুপারের কাছে গেলে প্রথমে সুপার ট্যাব টি দিতে চায়নি। পরে অনেক বাকবিতন্ডার পরে সুপার আমাকে ট্যাব টি দেয়। দুই বছর ব্যবহারের পর ট্যাব টি কেমন থাকতে পারে তা বিচারের দায়ভার আপনাদের উপরেই ছেড়ে দিলাম।
এ খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ছুটে যায়, মধুপুর ঈদগাহ্ দাখিল মাদ্রাসা সুপারের নিকট। তার নিকট ট্যাব এর বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি বলতে রাজি হয়নি। এছাড়া আপনার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, মাদ্রাসায় নিয়োগে লেনদেন হয়েছে বিষয়টি আমি জানি, শুধু মাত্র ঠাকুরগাঁও জেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার মো. আলাউদ্দীন আল আজাদকে আমি এক লাখ টাকা দিয়েছি। আমি নিয়োগ বাবদ কোন টাকা গ্রহণ করিনি বিষয়টি তৎকালীন সভাপতি ভালো জানেন।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার এডহক কমিটির বর্তমান সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম এর নিকট মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ যদি আমাকে লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে আমি প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট