ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধের দামামাঃ পরমাণু যুদ্ধের শঙ্কায় কাঁপছে বিশ্ব !
প্রধান বার্তা সম্পাদক- জাহারুল ইসলাম জীবন।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের চাপা উত্তেজনা অবশেষে বিস্ফোরক রূপ নিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের সমস্ত শান্তির আহ্বান উপেক্ষা করে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ এখন পুরোদমে যুদ্ধে লিপ্ত। সীমান্ত জুড়ে মুহুর্মুহু গোলাগুলির শব্দ, আকাশসীমায় যুদ্ধবিমানের গর্জন আর সাগরে রণতরীর আনাগোনা—দক্ষিণ এশিয়া এখন এক ভয়াবহ সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছিল। কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলার জের ধরে ভারত যুদ্ধ প্রস্তুতির দিকে এগোচ্ছে—এমন খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। এর আগে, ভারতের পহেলগামে হামলার পর পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা আগুনে ঘি ঢেলেছিল। করাচি উপকূলের কাছে তাদের ‘এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য ইসলামাবাদের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়, যা নয়াদিল্লিকে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করে তোলে।
পাকিস্তানের সেই পদক্ষেপের পাল্টা হিসেবে ভারতও সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে। ভারতীয় নৌবাহিনী নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি আইএনএস সুরাত থেকে একটি নিম্ন-উড্ডয়ন মিসাইল ধ্বংসের সফল পরীক্ষা চালায়, যা তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার জানান দেয়।
তবে, সংঘাতের মূল কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে ভারতের একতরফা সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত। এই পদক্ষেপকে পাকিস্তান সরাসরি ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে এবং প্রয়োজনে পারমাণবিক জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। পাকিস্তানের এই কঠোর হুঁশিয়ারি পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।
অন্যদিকে, চীনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে ভারত তাদের হাসিমারা বিমান ঘাঁটিতে ৩৬টি অত্যাধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে। এর জবাবে চীনও সীমান্তে নজিরবিহীন সামরিকীকরণ শুরু করে। এমন খবরও প্রকাশিত হয় যে, চীনের কাছে রকেট এবং সারফেস-টু-সারফেস ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা ভারতের রাফাল বিমানের কার্যকারিতা ধ্বংস করতে সক্ষম।
এই পরিস্থিতিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। উভয় দেশ একে অপরের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে এবং আকাশসীমাও বন্ধ করে দিয়েছে। এখন স্থল, আকাশ ও জলপথে পুরোদমে যুদ্ধ চলছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে। যদিও নিরপেক্ষ সূত্র থেকে এই খবরের সত্যতা এখনো যাচাই করা যায়নি, তবে সীমান্ত পরিস্থিতি যে অত্যন্ত উদ্বেগজনক, তা নিশ্চিত।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই পূর্ণাঙ্গ সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা দীর্ঘকাল ধরেই ছিল। কাশ্মীর ইস্যু উভয় দেশের মধ্যে একটি স্থায়ী ক্ষত, এবং সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো সেই ক্ষতকে আরও গভীর করেছে। দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে এই যুদ্ধ শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, বিশ্ব শান্তির জন্যও এক চরম হুমকি।
উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকেই কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ চলছে। একাধিকবার এই অঞ্চলকে কেন্দ্র করে উভয় দেশ যুদ্ধে জড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকে বারবার শান্তি আলোচনার আহ্বান জানানো হলেও, স্থায়ী সমাধান আজও মেলেনি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব সহ বিশ্ব নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং উভয় দেশকে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে কূটনৈতিক পথে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে, মাঠের পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে দুই দেশ আলোচনার টেবিলে ফেরে নাকি এই সংঘাত আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। পারমাণবিক যুদ্ধের ছায়া ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে, যা বিশ্বকে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।