*কক্সবাজার টেকনাফে রোহিঙ্গাদের হাতে স্থানীয় যুবক খুন*
প্রভাষক নিজাম উদ্দিন;
বার্তা সম্পাদক
(কক্সবাজার,বান্দরবান)
কক্সবাজারের টেকনাফ পৌর শহরে রোহিঙ্গা নাগরিকদের বসবাস আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে নিবন্ধিত হওয়ার পর কাঁটাতার এবং সংশ্লিষ্টদের মেনেজ করে ওরা লোকালয়ে বিভিন্ন ভাড়া বাসা এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় অবস্থানের পর বিভিন্ন অপকর্ম ডাকাতি, অপহরণ মাদক ও মানব পাচারের সাথে জড়িত হয়ে পড়ছে।এমনকি প্রতিপক্ষকে খুন করতে ভাড়াটিয়া কিলার হিসাবে কাজ করে আসছে। এনিয়ে স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।এ ধরনের ঘটনার গুলোর মধ্যে স্থানীয় নাজিবুল্লাহ অন্যতম। ভাড়াটিয়া রোহিঙ্গার হাতে নজিবুল্লাহ নামক এক যুবককে ছুরির আঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত সাদেক নামের এক ব্যক্তি সহ আরো ৪,৫ জন রোহিঙ্গা যুবকের বিরুদ্ধে।
২০ এপ্রিল (রবিবার) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কায়ুকখালীয়া পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত নাজিবুল্লাহ মা এলমা খাতুন ” জানান- আমার ছেলে ফজরের নামাজ পড়তে গিয়েছিল মসজিদ। পরে ৮ টার দিকে দোকানে নাস্তা করতে যাওয়ার পথে আমার ছেলেকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে রোহিঙ্গা সাদেক ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। রোহিঙ্গাদের একটা বড় সিন্ডিকেট রয়েছে বিভিন্ন এলাকায় তারা ভাড়া বাসায় থাকে রোহিঙ্গা পিতা কাসিমের ছেলে রোহিঙ্গা আব্দুল্লাহ সহ আরো কয়েকজন রয়েছে। আমি আমার ছেলে হত্যাকারী রোহিঙ্গাদের সাদেক সহ যারা আছে তাদের সুস্থ বিচার চায়।
স্থানীয় যুবক মোবারক হোসেন ” জানান- মিথ্যা অপবাদ দিয়ে রোহিঙ্গা যুবক সাদেকের ছুরিকাঘাতে নির্মম হত্যার শিকার হয়েছেন স্থানীয় যুবক নাজিবুল্লাহ। আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা সহ সেই রোহিঙ্গা ঘাতক সাদেকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের বাসাভাড়া দেওয়া মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। উল্লেখ থাকে যে,উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় টেকনাফ পৌর শহর সহ বিভিন্ন স্থানে রোহিঙ্গারা ভাড়া বাসায় অবস্থান করে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত সংক্রান্ত বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হলেও এপর্যন্ত এর সফল সফল হয়নি স্থানীয়রা।
টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান – খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন অভিযোগ বা মামলা দায়ের করা হয় নি। অভিযোগ হাতে পেলে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।