কিশোরগঞ্জে ঢাকঢোল পিটিয়ে বর্ষবরণ, শুরু ১০ দিনব্যাপী লোকজ মেলা
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আল আমিন
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে স্বাগত জানাতে ঢাকঢোল পিটিয়ে, নাচে-গানে মুখর হয়ে উঠেছিল কিশোরগঞ্জ। বৈশাখের প্রথম সকালেই রঙ-বেরঙের পোশাক পরে মানুষ বের হয় রাস্তায়, আর সেই আনন্দঘন মুহূর্তে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয় নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা। শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শোভাযাত্রাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী।
শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান। সঙ্গে ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক রমজান আলী, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
শোভাযাত্রায় ছিল গ্রামীণ বাংলার চিত্র। ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা, গরুর গাড়িতে নববধূর বাপের বাড়ি যাত্রা, ধানকাটা কৃষকের প্রতিকৃতি—সব মিলিয়ে তৈরি হয় বৈশাখী আবহ। পুরাতন দিনের সেই চেনা বাংলার ঘ্রাণ পাওয়া গেল শহরের রাস্তায়।
এর আগে সকালে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান পুরাতন স্টেডিয়ামে ১০ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন। মেলায় ৫০টি স্টল স্থান পেয়েছে, যেখানে প্রদর্শিত হচ্ছে হস্তশিল্প, গ্রামীণ পণ্য, খেলনা, খাবারসহ নানা লোকজ সামগ্রী।
বৈশাখের উৎসবে কিশোরগঞ্জ যেন হয়ে উঠেছিল এক টুকরো প্রাণবন্ত গ্রামবাংলা।
আপনি চাইলে এই প্রতিবেদনটির ভিত্তিতে একটি ছোট ভিডিও স্ক্রিপ্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাপশন, বা কবিতার মতো কিছু সৃজনশীল উপস্থাপনাও তৈরি করে দিতে পারি।