1. shahinsalman99@gmail.com : দৈনিক আজকের জনতার কথা : দৈনিক আজকের জনতার কথা
  2. info@www.dainikajkerjanatarkotha.online : দৈনিক আজকের জনতার কথা :
রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ঐতিহ্য মেনে শোলাকিয়ায় ঈদুল আজহার ১৯৮তম জামাত অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব জনাব জাহারুল ইসলাম জীবনের ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বাণীঃ দেশ ও দেশের প্রবাসী সকল ভাই- বোনদেন প্রতি পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ” আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শেখ শাহীন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব জনাব জাহারুল ইসলাম জীবনের ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বাণীঃ- ” প্রিয়, দেশ ও দেশের বাহিরের সকলের প্রতি রহিল অগ্রিম ঈদুল আজহার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন “-** ঈদ মোবারক** মানবাধিকার সেক্রেটারি মোহাম্মদ গোলাম মাওলা পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খুলনা বিভাগ সহ মংলা রামপাল বাসীকে। পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশবাসী ও প্রবাসী ভাই ও বোনদের ” ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার সিনিয়র:ভাইস -চেয়ারম্যান শেখ শাহীন বোমা হামলা চাঁদাবাজি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিএনপির মতবিনিময় সভা পাকুন্দিয়ায় বাসচাপায় হাফেজ সারোয়ার নিহত ★ঈদ মোবারক!-ঈদুল আজহা’র বিশেষ অগ্রিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা★ আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহাঃ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত আত্মশুদ্ধি ও ভ্রাতৃত্ববোধে সামাজিক সংহতি !

গাজার সমর্থনে ঢাকায় লাখো মানুষের মার্চ ফর গাজা-২০২৫ পদযাত্রা, ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধের দাবি।

প্রধান বার্তা সম্পাদক- জাহারুল ইসলাম জীবন।
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪৯ বার পড়া হয়েছে

গাজার সমর্থনে ঢাকায় লাখো মানুষের মার্চ ফর গাজা-২০২৫ পদযাত্রা, ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধের দাবি।

প্রধান বার্তা সম্পাদক- জাহারুল ইসলাম জীবন।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার প্রতিবাদে এবং গাজার জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) ঢাকায় এক বিশাল গণবিক্ষোভ ও পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। “মার্চ ফর গাজা-২০২৫” ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে দুপুর ২টা থেকে রাজধানীর পাঁচটি ভিন্ন পয়েন্ট থেকে মিছিল শুরু হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসি গেইটে (ভিসি চত্বর) এসে সমবেত হয়। সেখানে এক ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা পাঠের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটে।
প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত এই পদযাত্রায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লাখো মানুষ অংশ নেন। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ফিলিস্তিনের পতাকা ও প্ল্যাকার্ড হাতে গাজার সমর্থনে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং ইসরায়েলের গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানান।
টিএসসি চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে “মার্চ ফর গাজা (ঢাকা) ঘোষণা পত্র-২০২৫” পাঠ করা হয়। ঘোষণাপত্রে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, মুসলিম বিশ্বের নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে চার স্তরের দাবি তুলে ধরা হয়। একইসাথে নিজেদের ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে একটি অঙ্গীকারনামাও ঘোষণা করা হয়।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে উত্থাপিত দাবিগুলো হলোঃ
** জায়নবাদী ইসরায়েলের গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে নিশ্চিত করতে হবে।
** যুদ্ধবিরতি নয়, গণহত্যা বন্ধে কার্যকর ও সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
** ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী ভূমি ফিলিস্তিনকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বাধ্যবাধকতা তৈরি করতে হবে।
** পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
** ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত করতে হবে।
মুসলিম উম্মাহর নেতৃবৃন্দের কাছে উত্থাপিত দাবিগুলো হলো।
** ইসরায়েলের সাথে অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সকল সম্পর্ক অবিলম্বে ছিন্ন করতে হবে।
** জায়নবাদী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।
** গাজার মজলুম জনগণের পাশে চিকিৎসা, খাদ্য, আবাসন ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সহ সর্বাত্মক সহযোগিতা নিয়ে দাঁড়াতে হবে।
** আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসরায়েলকে এক ঘরে করতে সক্রিয় কূটনৈতিক অভিযান শুরু করতে হবে।
** জায়নবাদের দোসর ভারতের হিন্দুত্ববাদী শাসনের অধীনে মুসলিমদের অধিকার হরণ, বিশেষ করে ওয়াকফ আইনে হস্তক্ষেপের মতো রাষ্ট্রীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ওআইসি ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে দৃঢ় প্রতিবাদ ও কার্যকর কূটনৈতিক অবস্থান নিতে হবে।
বাংলাদেশ সরকারের কাছে উত্থাপিত দাবিগুলো হলোঃ
** বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘Except Israel’ শর্ত পুনর্বহাল করতে হবে এবং ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার অবস্থান আরও সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে হবে।
** সরকারের ইসরায়েলি কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে যত চুক্তি হয়েছে, তা বাতিল করতে হবে।
** রাষ্ট্রীয়ভাবে গাজায় ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা পাঠানোর কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
** সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে এবং আমদানি নীতিতে জায়নবাদী কোম্পানির পণ্য বর্জনের নির্দেশনা দিতে হবে।
** জায়নবাদের দোসর ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকারের অধীনে মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানাতে হবে।
** পাঠ্যবই ও শিক্ষা নীতিতে আল-আকসা, ফিলিস্তিন ও মুসলিমদের সংগ্রামী ইতিহাসকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সর্বশেষে, অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে একটি অঙ্গীকারনামা পাঠ করেন। যেখানে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব টিকিয়ে রাখে এমন সকল পণ্য ও কোম্পানি বয়কট, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ফিলিস্তিনের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতন করা এবং নিজেদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখার অঙ্গীকার করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা গাজার জনগণের অসামান্য ধৈর্য ও প্রতিরোধের প্রশংসা করেন এবং শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হবে এবং ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট