সুন্দারবনের হরিনের মাংস বিক্রয় হচ্ছে পশুর নদীর নোঙ্গর করা শিপে।
মোঃ কামরুল ইসলাম ক্রাইম রিপোর্টারঃঃ মংলা
সুন্দরবনে চোরা শিকারি চক্রের দৌরাত্ম্য চলছেই। বন বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন তৎপরতা সত্ত্বেও হরিণ শিকার থামছে না। বনসংলগ্ন এলাকায় গোপনে বিক্রি হচ্ছে হরিণের মাংস। সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকা থেকে মাঝেমধ্যে উদ্ধার হয় এই মাংস। এ অবস্থায় বনে শিকার বন্ধ এবং শিকারিদের ধরতে ১১ পরিকল্পনা নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেও,বন বিভাগের এই সব পরিকল্পনা নিয়েও ঠেকানো যাচ্ছেনা হরিন শিকার।
সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, লোকালয়ের পাশে ছোট নদী ও পশুর নদী পেরোলেই গহিন জঙ্গল। চোরা শিকারিরা জেলে সেজে নৌকা নিয়ে দু-তিনজনের ছোট দলে বনের গহিনে প্রবেশ করে। তারা নাইলনের দড়ির একধরনের ফাঁদ হরিণের নিয়মিত যাতায়াতের পথে পেতে রাখে। চলাচলের সময় হরিণগুলো সেই ফাঁদে আটকে যায়। তারপর বনের ভেতর থেকে ছিলে–কেটে লোকালয়ে এনে মাংস বিক্রি করা হয়।
অনুসন্ধান করতে গেলে নাম গোপন রাখা শর্তে যানা যায় বর্তমান হরিন চোরা কারবারি বেশির ভাগ মাংস বিক্রায় করছে পশুর নদীতে থাকা বিভীন্ন নৌ-যানে। মোংলা বন্দরের সকল বড় জাহাজ হাড়বাড়িয়ায় নোঙ্গর করায় ওই পন্য খালাস করতে আসা ওই ছোট লাইটার জাহাজ বা শিপে বিক্রায় করে, এছাড়া নদী পথে জালিবোড ও টলার যোগে পাচার হচ্ছে দিধারছে।মোংলা থেকে আসা জলিবোর্ড গুলো জাহাজের লোক ও টুরিস্টের নিয়ে আসার কারনে বেশির ভাগ প্রশাসন এদের চেক করেনা এই সুযোগ কাজে লাগচ্ছে চোরা কারবারি।
তিনি আরো বলেন আনেক সমায় লাইটার জাহাজ বা ছোট শিপের সাথে তেলের বিনিময় মাংস দেয়া নেয়া হয়।
পশুর নদীর হারবারিয়া বন্দর স্টেশন থেকে চিলা বাজার প্রযর্ন্ত নোঙ্গর করা লাইটার জাহাজ বা শিপ এবং জলিবোর্ড কঠোর নজরদারীতে না রাখতে পরলে এই শিকার বন্ধ কারা সম্ভাব হবেনা।