ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞে পরিনিত হয়েছে গাজা- রাফা সহ ফিলিস্তিন! সমগ্র বাংলাদেশ সহ বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের ঝড়।
কেন্দ্রীয় বার্তা সম্পাদক- জাহারুল ইসলাম জীবন।
ইসরায়েল ও তার মিত্রদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় চালানো হচ্ছে মানবতাবিরোধী চরম ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞ এবং ধ্বংসলীলা। মসুলমানদের প্রথম কেবলা আল্ আকসা মসজিদের উপর বোমা হামলা এবং গ্যাসীয় বোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের উপর নির্বিচারে গণহত্যা চালানো হচ্ছে। এই হামলায় গাজা ও রাফার জনবসতি সম্পূর্ণরূপে বিলীন হওয়ার পথে, যেখানে মানুষের শেষ নিঃশ্বাসটুকুও কেঁড়ে নিয়ে এলাকাটিকে বিরানভূমিতে পরিণত করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মহলের তীব্র প্রতিবাদ ও সমালোচনা এবং জাতিসংঘের মানবাধিকারের ঘোষণাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তির বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের এই নির্বিচার গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ মধ্যপ্রাচ্যকে সম্পূর্ণরূপে অস্থির করে তুলেছে এবং ইসরায়েল ও তার মিত্রদের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের ঘৃণ্য লক্ষ্য স্পষ্ট করেছে। বিবেককে নাড়া দেওয়ার মতো জঘন্য এই গণহত্যা ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফার ভূমিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে, যেখানে প্রাণের কোনো চিহ্ন অবশিষ্ট নেই।
ইসরায়েল ও তার দোসরদের এই ন্যক্কারজনক ধ্বংসাত্মক গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে গতকাল ও আজ সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশও বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে উত্তাল। দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষ ইসরায়েলের এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে।
বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি বিমান বাহিনী গাজা ও রাফার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় নির্বিচারে বোমা বর্ষণ করছে। গ্যাসীয় বোমা ব্যবহারের ফলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, যেখানে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ অসংখ্য বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, স্কুল এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর কার্যালয়ও এই হামলায় রেহাই পাচ্ছে না।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, গাজা ও রাফার রাস্তাঘাটে শুধু ধ্বংসের চিহ্ন। আহত ও নিহতদের আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। জীবন বাঁচানোর জন্য ন্যূনতম খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসার অভাবে সেখানে মানবিক বিপর্যয় চরম আকার ধারণ করেছে। বাস্তুহারা মানুষ খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলের এই আগ্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানালেও কার্যত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে উল্লেখ করেছে এবং অবিলম্বে তা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক চাপকে উপেক্ষা করে তাদের ধ্বংসযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ইসরায়েলের এই মানবতাবিরোধী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা অবিলম্বে এই গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়েছে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তারা ইসরায়েলের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি সহ ইসরায়েলের সমস্ত পণ্যকে বয়কট করার আহ্বান জানান।
ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফার এই মর্মান্তিক পরিস্থিতি বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে। মানবাধিকার ও শান্তির পক্ষে লড়াই করা প্রতিটি মানুষের আজ ইসরায়েলের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়ানো অপরিহার্য। এই ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ না হলে মধ্যপ্রাচ্য আরও গভীর সংকটের দিকে ধাবিত হবে এবং এর ফলস্বরূপ বিশ্বজুড়ে অস্থিতিশীলতা আরও বাড়বে। বিশ্বের বিভিন্ন সমর ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞগণ সহ সমগ্র বিশ্ববাসী বর্তমান পরিস্থিতিতে মনে করতেছেন যে, এই পরিস্থিতির যথাযথ দ্রুততার সহিত শান্তিপূর্ণ উত্তরণ না হলে মধ্যপ্রাচ্য সহ আঞ্চলিক অস্থিরতা হেতু তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের রূপ নিলেও নিতে পারে।