*গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মালুমঘাটে হাজারও মানুষের বিক্ষোভ মিছিল।*
প্রভাষক নিজাম উদ্দিন ;
বার্তা সম্পাদক
(বান্দরবান,কক্সবাজার) :
চকরিয়া মালুমঘাটে, (সোমবার, ৭ এপ্রিল) গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনে ও গণহত্যার প্রতিবাদে মালুমঘাটে অনুষ্ঠিত হলো বিশাল বিক্ষোভ মিছিল। বিকেল ৫টায় আসরের নামাজের পর তৌহিদি জনতা নেতৃত্বে ফিলিস্তিনের পতাকা ও প্রতিবাদী ব্যানার নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে।
হাজারও মানুষের উপস্থিতিতে বিক্ষোভটি একসময় বিশাল জনসমুদ্রে রূপ নেয়। অংশগ্রহণকারীরা "ফ্রি প্যালেস্টাইন", "স্টপ কিলিং ইন গাজা", "বয়কট ইসরায়েলি পণ্য"—এই স্লোগানে গর্জে ওঠেন।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, "গাজায় যা ঘটছে, তা সরাসরি একটি গণহত্যা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা ও পক্ষপাতমূলক আচরণই ইসরাইলের এই বর্বরতার পথ সুগম করেছে।" তারা ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধের বিচার ও গাজাবাসীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি ও ইসরাইলি পণ্য বর্জনের জন্য সবাইকে অনুরোধ করে ।
ফিলিস্তিনের ইতিহাস সম্পর্কে বলেন, ফিলিস্তিন ভূখণ্ড হলো পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতার বাহক। এটাই সেই প্রথম ভূখণ্ড, যেখানে প্রায় খ্রিষ্টপূর্ব ৯ হাজার বছর আগে মানুষ খেত-খামার ও স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করেছিল। পরবর্তী ১ হাজার বছর পরে, খ্রিষ্টপূর্ব ৮ হাজার বছর আগে গড়ে ওঠে ‘আরিহা’ নামক নগরী। আরিহা নগরীর পতনের পর থেকে যুগে যুগে বিভিন্ন জাতি, সম্প্রদায় ও অসংখ্য নবী-রাসুল এই পবিত্র ভূমিতে বাসস্থান গড়ে তুলেছেন।
ফিলিস্তিনে কেনআনি সম্প্রদায় : যতগুলো সম্প্রদায় ফিলিস্তিনে বসবাস করেছে তাদের মধ্যে কেনআনি সম্প্রদায় সর্বাধিক পুরোনো। তাদের স্মৃতিচিহ্ন আজও ফিলিস্তিনে বিদ্যমান। কেনআনি সম্প্রদায় আনুমানিক ৪ হাজার ৫০০ বছর আগে আরব উপদ্বীপ থেকে এ অঞ্চলে আগমন করে। এ কারনে ফিলিস্তিনকে প্রাচীন ইতিহাসে ‘আরদে কেনআন’ বলা হয়।
ফিলিস্তিনে ইয়াবুসি সম্প্রদায় : আরব উপদ্বীপের উত্তর প্রান্ত থেকে দেশত্যাগ করা গোত্রগুলোর মাঝে ‘ইয়াবুসি’ সম্প্রদায়ও ছিল।
আল কুদস নগরী গড়ে ওঠার আগেই এই সম্প্রদায় এখানে বসবাস শুরু করেছিল। এ কারণে ‘আল-কুদস’ নগরীকে তাদের নামের দিকে সম্বন্ধিত করে ‘ইয়াবুস’ ও বলা হতো।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে, মৌলানা আমান উল্লাহ কুতুবী
ফিলিস্তিন মুসলিম শহীদদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করে বলেন, আল্লাহ তুমি ফিলিস্তিনবাসীকে রক্ষা করো। এবং ফিলিস্তিনের মুসলমান এর উপর রহমত নাযিল কর।